গাজী মোহাম্মদ হানিফ, সোনাগাজী (ফেনী) : সোনাগাজী উপজেলার ৩নং মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাদল। বয়সে তরুণ হলেও বাদল চেয়ারম্যানের রয়েছে মেধা ও রাজনৈতিক দূরদর্শীতা। জনসেবার ব্রত নিয়ে রাজনীতি করেন তিনি। ইতিপূর্বে তিনি ৫ বছর মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পরবর্তীতে তিনি আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভ করা মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে, যখন ইউনিয়নের গরীব অসহায় ও স্বল্প আয়ের মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে খাদ্য সংকটে ভুগছেন, ঠিক তখনি মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। সরকারি ত্রাণ সহায়তা আসার আগেই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী, নিজস্ব অর্থায়নে সাধারণ মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা শুরু করেন। সাধারণ মানুষকে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সম্ভাব্য পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করতে জনসচেতনতা মুলক, বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা শুরু করেন- বাদল চেয়ারম্যান। তিনি মাইকিং করে প্রচারণা করেন, জনসাধারণের মাঝে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে করা সহ নানান কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি। করোনা ভাইরাস যেন বিস্তার লাভ করতে না পারে, বহিরাগত ঠেকাতে ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে তিনি ইউনিয়নের প্রবেশপথ গুলোতে গ্রাম পুলিশদের দিয়ে চেকপোস্ট করেন। অতি প্রয়োজন ছাড়া যেন কেউ রাস্তায় না আসে এই বিষয়ে জনসাধারণকে সতর্ক করেন। সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি ফেনী ২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির পাঠানো ত্রাণ সুষমভাবে বণ্টন করে, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় করে গ্রাম পুলিশদের মাধ্যমে মানুষের বাড়ীবাড়ী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। সরকারি ত্রাণ ছাড়াও বাদল চেয়ারম্যান তার নিজের টাকায়, ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব ও ইউনিয়নের সামর্থ্যবান দানশীল লোকজনের কাছ থেকে অর্থ কালেকশন করে, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম সাহেবের কাছ থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করে, এলাকার লোকজনকে বাড়ীতে বাড়ীতে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। পবিত্র শবেবরাতে তিনি ইউনিয়নের গরীব অসহায় মানুষজনের বাড়ীতে ২০০ পিস মুরগী কিনে পাঠিয়ে দেন। বক্তারমুন্সী বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ থাকায় লোকসানের মুখে পড়ায়, বাদল চেয়ারম্যান দোকানঘর মালিকদের সাথে আলোচনা করে এপ্রিল মাসের ঘরভাড়া মওকুফের ব্যবস্থা করেন। বাদল চেয়ারম্যানের বিচক্ষণ চিন্তা ভাবনা ও সমাজসেবা মুলক কর্মকাণ্ড চোখে পড়ার মতো। ইতিমধ্যে তিনি নিজ ইউনিয়ন ছাড়াও পুরো সোনাগাজী উপজেলায় একজন আলোচিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। বাদল চেয়ারম্যান জানান, যতদিন পর্যন্ত দেশের এই পরিস্থিতি থাকবে ততদিন পর্যন্ত সরকারি সাহায্য সহযোগিতার পাশাপাশি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সাধারণ জনসাধারণকে সকল ধরণের সহযোগিতা করবেন। তিনি সকলকে সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজনিজ ঘরে অবস্থান করা ও প্রবাস ফেরত সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুরোধ জানান। এলাকার বিত্তবানদের প্রতি এই দূর্যোগকালীণ সময়ে এলাকার মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার অনুরোধ ও উদাত্ত আহ্বান জানান।