সারোয়ার জাহান বিল্পব পবা প্রতিনিধি: রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা বাজারে থানা সংলগ্ন চায়ের দোকান মালিক এক বৃদ্ধা মহিলার পরিবারের খাদ্যের দায়িত্ব নিলেন আরএমপি পবা থানার ওসি গোলম মোস্তফা। ওই নারী পবা উপজেলার পিল্লাপাড়া এলাকয় ভূমিহীন হক মার্কেটের পিছনে এক সরকারী জায়গায় থাকেন মোছাঃ রহিমা বিবি (৮০)। জানা গেছে, পবা উপজেলার পিল্লাপাড়া এলাকয় ভূমিহীন হক মার্কেটের পিছনে এক সরকারী জায়গায় থাকেন মোছাঃ রহিমা বিবি (৮০)। তার স্বামী মোঃ হাসিম (৮৫) প্রতিবন্ধী অন্ধ। রহিমা বিবির ছেলে মোঃ করিম (৩৫) তার স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩২)। এবং তালাক প্রাপ্ত তার মেয়ে মোছাঃ সীমা বিবি ও তার দুই ছেলেসহ সাত সদস্য মিলে রহিমা বিবির পরিবার। এক মাত্র চায়ের দোকান চালিয়ে তার পরিবার চলে। নওহাটা ব্রীজঘাটে একটি চায়ের দোকান চালায় মোছাঃ রহিমা বিবি। চায়ের দোকান চালিয়ে তার পরিবার চলে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তার দোকান বন্ধ। তাই মানবেতর জীবন যাপন করছে তার পরিবার। করোনা ভাইরাসের কারণে তার দোকানটি বন্ধ হয়ে যায়। তবুও রাতের আধারে উক্ত মহিলা চায়ের দোকানে ট্রাক ড্রাইভার ও ভ্যান চালকদের বিস্কুট ও চা বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করার চেষ্টা করে। বিষয়টি আরএমপি পবা থানা অফিসার ইনর্চাজ গোলাম মোস্তফার নজরে আসে। পরে তিনি রহিমা বিবির বিষটি খোজ নেন ব্যক্তিগত ভাবে। পবা থানার ওসি গোলাম মোস্তফা গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে ওই নারীর চায়ের দোকানে যান। এসময় দোকানে বসে থাকা বয়স্ক মহিলার আকুতি করেন দোকান খোলা রাখার জন্য। এবং তাদের ৭ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের অভাবের কথা বলেন ওসি কে। ওসি গোলাম মোস্তফা বৃদ্ধার কথা শুনে বিষটি মানবিক বিবেচনা করে। দেশের এই পরিস্থিতির সময় দোকান বন্ধ রেখে বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধ করেন। সেই সাথে দোকান বন্ধ কালিন সময় তাদের পরিবারের সকল সদস্যদের খাওয়ার ব্যবস্থা জন্য দায়িত্ব নেন ওসি মোঃ গোলাম মোস্তফা। এ বিষয়ে পবা থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, সব দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। নওঁহাটা বাজারে এক বৃদ্ধা কে থানা পুলিশ চায়ের দোকান বন্ধ রাখার কথা বলেও তিনি রাতে চায়ের দোকান খোলা রাখেন। থানা পুলিশ বিষটি আমাকে জানায়। তিনি আরো বলেন, শুক্রবার আমি নিজে রহিমা বিবির দোকানের সামনে যায়। এসময় তিনি দোকান না চালালে পরিবার চলবে না। এসময় সে দোকান খোলা রাখার জন্য অনুরোধ করে। পরি তার পরিবারের মানবেতর জীবন যাপনের ঘটনা জানতে পারি। মানবিক দিক বিবেচনা করে তার পরিবারের খাদ্য সামগ্রী প্রদানের ভার আমি নিজেই নেই। দোকান বন্ধ থাকা কালিন সময় তার পরিবার কে খাধ্য সামগ্রী আমি সরবরাহ করবো বলে তাকে কথা দিলে তিনি দোকান বন্ধ রাখবেন বলে কথা দেন।