মোঃবিলাল উদ্দিন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ প্রবাসে কত কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে হাজার হাজার শ্রমিক। এক দিকে মরণ ব্যাধী করোনা ভাইরাসের ফলে শ্রমিকদের কাজ নেই কোম্পানি গুলি দিচ্ছে না বেতন অন্য দিকে কুয়েত চলছে ১৩ঘন্টার কারফিউ সাথে জিলিব সুয়েক ও মাহবুল্লাহ দুটি এলাকাতে ২৪ঘন্টার লকডাউন অব্যাহত সব মিলে কুয়েতে প্রবাসী শ্রমিকদের মানবেতর জীবনযাপন অতিবাহিত করছে।বাংলাদেশী শ্রমিকরা।গতকাল ৮ এপ্রিল( বুধবার)রাতে কুয়েত খাইতান এলাকায় অবস্থিত আল আরফাজ গ্রুপ বা আল কুয়েতিয়া ট্র্যাষ্ট কোম্পানির দুশতাধিক শ্রমিকরা রাতে বেতনের দাবীতে কোম্পানির ব্যাারেকে বিক্ষোভ করছে বলে জানা গেছে। আমাদের এ প্রতিনিধি সরেজমিনে পরিদর্শন কালে শ্রমিকরা জানিয়েছেন ৪মাস যাবত কোম্পানি বেতন দিচ্ছে না। এমন কি বেতন চাইলে তাদেরকে নানাভাবে হয়রানির করা হয়। শ্রমিকরা আরো জানান,কোম্পানির সাইড ম্যানেজার ভারতীয় নাগরিক রমেশচন্দ্র রাতে শ্রমিকদের বলেন আজই বেতন দেয়া হবে এ আশ্বাস দিয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে পরিচয় পত্র বা (বতাকা) ও ব্যাংক কার্ড নিয়ে যায়। যখন বেতনের জন্য চাপ দিলে বলে আগে ডিউটিতে যেতে হবে। অসহায় শ্রমিকরা বলেন,মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের যেখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সেখানে তাদের ক্লিনার হিসাবে কাজে যাবার জন্য সাইড ম্যানেজার চাপ দিচ্ছে শ্রমিকরা সেখানে কাজে যাবার অস্বীকৃতি জানান। শ্রমিকরা তাদের ব্যাংক কার্ড ও পরিচয় পত্র ফেরত চাইলে দেয়া যাবেনা বলে অস্বীকৃতি জানালে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করতে তাকে। অনেক চেষ্টার পর তাহা উদ্ধার করা হয়। এ দিকে ব্যারেকের ভিতরে তুমুল বিক্ষোভের শব্দে পুলিশ অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের কি সমস্যা জানতে চাইলে শ্রমিকরা পুলিশের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন পুলিশ তাদেরকে শান্ত তাকতে অনুরোধ ও তাদের বেতন আদায়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দেয়। পরে অভিযুক্ত ম্যানেজার ও তার ছেলেকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।এ দিকে জানা গেছে,কোম্পানি শীঘ্রই শ্রমিকদের এক সাথে ৩ মাসের বেতন প্রদান সহ তাদের সকল দাবী দাওয়া পুরনের আশ্বাস প্রদান করেছে। অভিযুক্তদের এখন থেকে বদলি করা হবে বলে জানানো হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের রয়েছে ঘুষ দূর্নীতি টাকার বিনিময়ে চাকুরী প্রদান বাহিরে কাজ করলে মাসোহারা টাকা সহ নানা অভিযোগের শেষ নেই।