ঢাকাবুধবার , ৮ এপ্রিল ২০২০
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাজশাহী নগরীসহ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন-দৈনিক বাংলার অধিকার

প্রতিবেদক
majedur
এপ্রিল ৮, ২০২০ ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আকাশ সরকার রাজশাহী ব্যুরোঃ

কিন্তু সেই লকডাউনও মানছেন না রাজশাহী নগরীর বাসিন্দারা। বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ থাকলেও মঙ্গলবার সকালে নগরীতে দেখা গেছে বেশকিছু অটোরিকশা, মোটরসাইকেলের মতো যানবাহন। এসময় সাহেব বাজার ও আরডিএ বাজারের সামনে বেশ ভিড়ও লক্ষ্য করা যায়। পাশাপাশি অনেকেই পায়ে হেঁটেও বের হন বাড়ি থেকে নানা কাজে।

তবে যারা বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন তাদের দাবি কেউ পেটের দায়ে আবার কেউ জরুরী প্রয়োজনে বের হচ্ছেন।

মঙ্গলবার নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে গিয়ে দেখা যায় বেশকিছু যানবাহন চলাচল করছে সমানে। যেন কোনো বাধা ছাড়ায়। এর মধ্যে অটোরিকশা আর মোটরসাইকেলই বেশি।একজন মোটরসাইকেল আরোহীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ওষুধ নিতে লক্ষিপুর যাচ্ছি।

অটোরিকশা চালক পলাশ ইসলাম বলেন, ‘ভাইরে কতদিন বাড়িতে বসে থেকে খাবো? আমাদের তো বসে থেকে খাওয়ার মতো টাকা নাই। আবার কাজ করে সংসার চালাতে পারি বলে কেউ ত্রাণও দেয় না। তাহলে পেট চলবে কি করে? তাই বাধ্য হয়ে ভয় থাকার পরেও পেটের দায়ে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছি।’

তার মতো অন্য অটোরিকশা চালকদেরও সাফ জবাব, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেরিয়েছি,আমাদের তো কেউ ত্রাণ দেয় না। তাহলে খাবো কি? কাজ না করলে খেতে পাবো না, তাই অটোরিকশা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি জীবনের ঝুঁকির পরেও।’

অন্যদিকে রাজু ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, বাড়ির বাজার ফুরিয়ে গেছে। বাজার করতে বের হয়েছি। বাজার না করলেও তো চলে না। কয়দিন ধরে বাড়ি থেকে বেরই হয়নি। কিন্তু বাজার করতে বের হতেই হলো শেষ পর্যন্ত।

আরেক ব্যক্তি মানিক হোসেন বলেন, ‘এই সময়ে কেউ অযথা বাড়ির বাইরে ঘুরা-ফেরা করবে বলে মনে হয় না। যাদের একেবারে না বের হলেই নয়, তারাই হয়তো বের হচ্ছে। আমারও প্রয়োজনের তাগিদেই বের হওয়া। তবে দূরুত্ব বজায় রেখেই হাঁটছি।’

Don`t copy text!