আকাশ সরকার রাজশাহী ব্যুরো:
সারাদেশের মতো রাজশাহী মহানগরীর ৩২ টি পয়েন্টে বিশেষ এমএসের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে হতদরিদ্রদের মাঝে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ১০ টা থেকে এ চাল বিক্রি শুরু হয়। দেয়া হবে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত। শুধু রাজশাহী মহানগরীর নির্ধারিত ৩২ টি পয়েন্টে এ চাল বিক্রি করা হচ্ছে। জেলার কোন উপজেলা বা পৌরসভা এলাকায় এ চাল বিক্রি করা হচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে জেলায় বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে। সপ্তাহে তিন দিন রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এ চাল বিক্রি করা হবে। তবে এ চাল সকল শ্রেণীর মানুষ পাবে না । এ চাল দেয়া হচ্ছে দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে ও তৃতীয় লিঙ্গ যারা রয়েছেন অর্থাৎ হিজড়া। এ চাল নিতে হলে ক্রেতাকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে কিনতে হচ্ছে।জনপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে সপ্তাহে ১ বার করে মাসে ২০ কেজি করে চাল কিনতে পারবে ক্রেতারা বেশি সংখ্যক ভোক্তাকে সুযোগ দিতে নিজেই সংগ্রহ করার পর অন্যকে সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আপনি আপনার প্রাপ্য টুকু বুঝে নিয়ে অন্যকে সুযোগ দিবেন সেই প্রত্যাশা রইল ভোক্তাদের প্রতি।
জানা যায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সমাজের হতদরিদ্র নিম্নবিত্তদের পাশে দাঁড়ানোর অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর অংশ হিসাবে রোববার থেকে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর ৩২ টি পয়েন্টে। গত শনিবার ৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক তার ফেসবুক আইডিতে নগরীর ৩২ পয়েন্টে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কথা জানান। সেই সাথে যারা চাল পাবে তাদের শ্রেণী সম্পর্কে জানিয়ে দেন তিনি। প্রত্যেককে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে চাল নিয়ে অন্যকে সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান। খাদ্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের তদারকি থাকবে বলেও জানান।
নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গতকাল রোববার সকাল দশটা থেকে ৩২ টি পয়েন্টে একযোগে চাল বিক্রি শুরু হয়। যেসব পয়েন্টে চাল বিক্রি হচ্ছে সেসব এলাকা গুলো হলো, বর্ণালী মোড়, শিরোইল কলোনী, বিসিক মোড়, পঞ্চ বটি, সফুরা ছয়ঘাটি, লিলি সিনেমা হল মোড়, রানীনগর বোর্ড পাড়া, তেরোখাদিয়া মোড়, পূর্ব ভাটাপাড়া, পুরাতন সিটি ভবন, ছোটবনগ্রাম, আলুপট্টি মোড়, শিরোইল স্টেশন বাজার, দাশপুকুর বউবাজার, মহিষবাথান কারিতাস মোড়, নগর পাড়া মোড়, লক্ষ্মীপুর কাঁচাবাজার, টিকাপাড়া, তেরোখাদিয়া স্টেডিয়াম মোড়, কাজলা গেট বাজার, সাধুর মোড়, হড়গ্রাম বাজার, নওদাপাড়া বাজার, ধরমপুর বাজার, সিএনবিমোড়, চৌদ্দপাই গ্রাম, বিনোদপুর, কাশিয়াডাঙ্গা মোড়, হেতেমখা মেথর পাড়া ও ভদ্রার মোড় বাজার।
রোববার দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, সপ্তাহে তিনদিন ৫ কেজি করে মাসে ২০ কেজি চাল দেয়া হবে একজনকে। এ চাল নিয়ে কেউ অপব্যবহার বা অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখন মহানগরের বাইরে জেলার পৌরসভা বা উপজেলায় দেয়া হচ্ছে না ভবিষ্যতে দেয়া হতে পারে।