শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৫:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
নিপুণ কে, কি এবং কি করেন, তা তার নিজেরই ভেবে দেখা উচিৎ- ডিপজল কুয়েতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হয়ে আসছেন সৈয়দ তারেক হোসেন ফরিদপুরে ৮ম শ্রেনী ছাত্র হত্যা’ ৬ বছর পর পলাতক আসামী র‍্যাবের হাতে আটক ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, হার মানাবে আয়লা ও আমফানকেও কুড়িগ্রামে নির্বাচনে কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ, সহিংসতা হলে ছাড় পাবে না কেউ পাঁচবিবিতে পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করন জেলা পরিষদের সদস্যা নুরখাতুন এর নেতৃত্বে বাপি হালদারের সমর্থনে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এর সংগ্রাম পুরে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা রংপুরে হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার,রংপুর এর আয়োজনে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালিত আলোচনায় স্বাধীন বাবুর নতুন গান ‘পোড়া চোখ’ চাঁদপুরে ভুয়া ডিবি আটক ফরিদপুর শেখ হাসিনার সাবদেশ প্রত্যাবর্তন দিবন পালন স্বদেশ প্রত্যার্বতন দিবসে শেখ হাসিনাকে যুবলীগের নেতা সবুজ এর শুভেচ্ছা  কুড়িগ্রামে পুরুষ ও কিশোরদের সম্পৃক্তকরণ ও পরিবেশগত তত্ত্বাবধান বিষয়ে কর্মশালা  এসিলেন্ডের হস্তক্ষেপে কচুয়ার মনপুরা উত্তর বিলে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ দাকোপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে গনসংযোগ করেছেন প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ যুবরাজ
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

রাজশাহী তে চলছে রমরমা মাদক ব্যাবসা,ধরা ছোঁয়ার বাইরে মুল হোতারা- দৈনিক বাংলার অধিকার

অধিকার ডেক্স / ৪৩০ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০, ৭:১১ পূর্বাহ্ণ

আকাশ সরকার রাজশাহী ব্যুরো:

রাজশাহীতে মাদক বিরোধী আন্দোলনসহ পুলিশি অভিযানের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় মাদক ব্যবসায়ী আটকের ঘটনাও বেড়ে যায়। কিন্তু এরপরও মাদক ব্যবসা কিন্তু থেমে নেই। এতে করে সর্বস্ততের কাছে মাদক ব্যবসা দমনের ফলাফল অনেকটা নিরাশায় পরিণত হয়।

এদিকে সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশল পাল্টে অভিনব কৌশলে মাদক ব্যবসা করার সময় ধরা পড়ে। এছাড়া মহিলা মাদক ব্যবসায়ীরা দ্বারাও মাদক ব্যবসা করার সময়ও অনেক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মতে, মাদক ব্যবসা একবারে বন্ধ করা যাবেনা। এটা ধীরে ধীরে প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে নিমূল করতে হবে। এছাড়া এটা শুধুমাত্র পুলিশ-প্রশাসনের একার পক্ষে সম্ভব না। এর জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সচেতনাতার মধ্য দিয়ে এসব ব্যবসা বন্ধ বা নির্মূল করা যাবে। এ জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

এদিকে একাধিক সূত্র জানায়, ‘এখনো সমাজের ঊর্ধ্বতন নেতা, পুলিশ-প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের লোকদের যোগসাজসে মাদক ব্যবসার ভুত এখনো সমাজের ঘারে চেপে আছে। তাইতো মাদক ব্যবসায়ীরা আটকের পর বড় মহলের কর্তা ব্যক্তিদের কারণে তারা আবারো ছাড়া পেয়ে যায়। তারা ছাড়া পেয়ে আবারো মাদক ব্যবসা করে। আর তাই পুলিশি অভিযানের পরও মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা করেই চলেছে। এই কারণ সব আরো অদৃশ্য কারণে মাদক ব্যবসা কিছুতেই নির্মূল করা যাচ্ছেনা। এতে করে পুলিশের শত অভিযান ও আটকের পরও মাদক ব্যবসায়া কিছুতেই দমন করা যাচ্ছেনা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খুচরা এক মাদক ব্যবসায়ী বলেন,নেতা ও পুলিশের সহযোগীতা পাওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বুক ফুলিয়ে ব্যবসা করছে আর বলছে আমাদের পুলিশ ও ডিবি পকেটে। অতএব আমাদের কোন সমস্যা নাই, ব্যবসা চলবেই।

স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গেছে,রাজশাহীর কাটাথালী থানার সমগ্র এলাকার প্রত্যেকটি স্পটে মাদক ব্যবসা চলছে রমরমা। বর্তমানে নওদাপাড়া মোড় হতে শাহাপুর এলাকায় মিরজুল, আলী, রুবেল, রাব্বেল, মুকুল, সেলিম, ও লতিব এরা হচ্ছে মাদকে ডিলার। মিরজুল, সেলিম, রুবেল, লতিফ প্রতিদিন খুচরা ব্যবসায়ীদের চাহিদা পূরন করেও দেশে বিভিন্ন জায়গায় ফেন্সসিডিল ও ইবাবা সাপলাই দেই, আরো জানান লতিফ,মিরজুল একসময় কৃষকের কাজ করতো মাদক ব্যবসা করে আজ কোটিপতি এছাড়াও আরো শতাধিক ব্যবসায়ী রয়েছে। অপরদিকে টাংগন এলাকায় জাহিদ মুকুল, সাথী, বিলকিস, আমিনুল, আজিজুল, চাইনা, সোনিয়া, আসাদুল ফেন্সিডিল, ইয়াবার পাইকারীও খুচরা ব্যবসা জমজমাট ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। শ্যামপুর বালু ঘাটের বাসিন্দা তারেক বর্তমানে কুখ্যাত ও বিখ্যাত ফেন্সিডিলের ডিলার, সে বর্তমানে সকল মাদক স্পটের চাহিদা পূরুন করে রাজধানী ঢাকায় ফেন্সিডিল সরবরাহ্ করছে বলেও একাধীক স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়াও শ্যামপুর, সাহাপুর, বাখরাবাজ, বেলঘড়িয়া, নওদাপাড়া, টাঙ্গন, চৌমহিনিসহ সমগ্র কাটাখালী থানা এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। বাংলাদেশ সিমান্তের ১০নং পিলার থেকে জাহাজ ঘাটের নিচের পদ্মার মিডিল চরের বাসিন্দা মানিক, আসাদুল, উজ্জল, আরিফ, শামীম, নয়ন, মোস্তফা মেম্বারের ছেলে ভারত থেকে ফেন্সিডিল
ও মদ এ পারে সরবারাহ্ করছে বলেও জানা যায়।

এলাকাবাসীদের অভিযোগ মাদক বিরোধী অভিযান বর্তমানে নাই বললেই চলে। তার মুল কারন হচ্ছে করনা ভাইরাস,আর এ কারনেই মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝে তৎপরতা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ধরা পরছে মাদক সেবি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আর ডিলাররা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাহিরে এমনটি অভিযোগ একাধিক স্থানীয়দের।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার(সদর) মোঃ গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন,মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স অবস্থানে আছে পুলিশ। মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মামলাও দেওয়া হচ্ছে। মাদক বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!