আহসান হাবীব জুয়েল রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় নিজ কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবির খোন্দকার। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এখনো করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত কোনো রোগীর সন্ধান পাওয়া যায় নি। সন্দেহভাজন ছয়জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। কিন্তু তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভাগীয় কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।
বিভাগীয় কমিশনার প্রধানমন্ত্রীকে আরো জানান, আগামীতে করোনা ভাইরাস রোগী পাওয়া গেলে চিকিৎসা দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এক হাজার ৬৮০টি বেড প্রস্তুত আছে। পিপিই’র কোনো ঘাটতি নেই। এই বিভাগে পাঁচ হাজার মজুদ আছে।
হুমায়ুন কবির বলেন, দরিদ্র মানুষের খাদ্য সহায়তায় জিআর থেকে ৯২১ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে ২৪০০ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে। আর নগদ ৮১ লাখ টাকা হাতে আছে। আগামী ৬/৭ মাস কোনো মানুষ কাজ না করলেও আমরা খাদ্য সহায়তা দিতে পারবো।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভাগীয় কমিশনারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দরিদ্র মানুষের প্রয়োজনে আরো টাকা ও খাদ্যা পাঠাবো।
পরে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বলেন। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় লিফলেট ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণসহ সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
অপরদিকে, নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, রাজশাহী জেলায় এখনো করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী নেই। সন্দেহভাজন একজন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
এছাড়া দরিদ্র মানুষ যাতে খাদ্য সংকটে না পড়ে এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার মজুদ আছে। কোন ব্যক্তি অভূক্ত থাকবে না। এছাড়া কোনো ব্যক্তি বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।