নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু তাহেরঃ
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের বটতলী কান্দি গ্রামের (খজমোল্লার বাড়িতে) মৃত আবুল ফয়েজের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (২০) আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে গতকাল ২৯শে মার্চ রবিবার সকালে। মৃত ফাতেমা আক্তার বাঁশ গাড়ি কলেজের প্রথম বেইজের ছাত্রী ছিলেন ও বটতলী কান্দি গ্রামের গাজী মিয়ার ছেলে কাওসার হোসেনের বৌ,
স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক ছিল ফাতেমার ও কাওসারের মাঝে এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের সম্মতি ক্রমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ২বছর আগে কাওসারের সাথে ফাতেমার। বিয়ের এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর সৌদি আরব পাড়িজমান কাউসার, বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই তাদের মধ্যে ফোনে প্রতিনিয়ত ঝগড়া লেগেই থাকত, নানান অপবাদে জরিয়ে অপমানিত করত শশুর বাড়ীর লোকজন, অপরদিকে ফাতেমা ননদ ও দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে,শশুর বাড়ির লোকজন নিতে আসেনাই অনেক দিন যাবৎ অপর দিখে কাউসার গত দুই মাস যাবৎ ফোন আলাপ বন্ধ করে দেয় ফাতেমার সাথে। গত ২৮ শে মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় পারিবারিক লোকজন ফাতেমাকে বাড়িতে খোঁজা খুঁজির পর না পেয়ে মনে হয়েছে কোন স্বজনের বাড়িতে চলে গেছে যা প্রায়ঐ চলে যেত বলে ভেবে নিল । গত কাল রবিবার সকাল আনুমানিক ১০ঘটিকার সময় চাচার অপরিত্যাপ্ত ঘরে ধান রাখার জন্য যান এক লোক ঘরের দরজা খুলতে গেলে চিটকারি বাহির থেকে না লাগিয়ে বিতর থেকে লাগানো দেখে তার মনে সন্দেহ হলে লোকজন কে খবর দেয়, লোকজন পিছনের দরজা তালা ভেংগে ঘরে ঢুকে দেখতে পান নিজ উর্না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ফাতেমা।
ফাতেমার মামি নূরজাহান আক্তার কল্পনা বলেন, স্বামীর সাথে সম্পর্ক খারাপ হওয়া ফলে দূরত্ব সৃষ্টি ও পারিবারিক কলহের জেরে ফাতেমা আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হয়। এ ব্যাপারে বাঁশগাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের এ এস আই মুস্তাফিজুর রহমান জানান, বাঁশগাড়ী তদন্ত কেন্দ্রে কাউসারের বিরুদ্ধে আগে একটি লিখিত অভিযোগ ছিল গাল-মন্দ সহ মানষিক নির্যাতনের, লাশ সুহরতাল সম্পন্ন করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।