সিরাজুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি(লক্ষ্মীপুর):
মরণঘাতি করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন ও খেটে খাওয়া মানুষের সবধরনের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোন মানুষ ঘরের বাইরে থাকছেন না। সকল শ্রেণীর মানুষদের ঘরমুখো করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিরামহীন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস জাতীয় দূর্যোগে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।তবে এই আতঙ্কের মাঝেও উল্টো পথে হাটছেন লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইটভাটাগুলোতে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীরা। এখানকার ইটভাটাগুলোতে হাজারো মানুষ করোনা আতঙ্কের মাঝেও তাদের কাজ-কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
শনিবার (২৯মার্চ) দুপুরে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল তোরাবগন্জ গ্রামে ‘ মেসার্স রহিমা ব্রিকস’, ‘ মদিনা ব্রিকস’ ও তৌসিক ব্রিক্স,ভবাণীগন্জ ব্রিক্সসহ উপজেলার সকল ইটভাটার দেখা যায়, করোনা ভাইরাস ঝুঁকির মাঝেও ইটভাটা গুলো অন্তত তিন হাজার মানুষ ধূলোময়লার মধ্যে ইট তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন।
সেখানে ইটভাটায় কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক জানান, করোনা প্রতিরোধে দেশের অন্যান্য জায়গায় ইটভাটা শ্রমিকদের ছুটি হলেও এখানে নেই। মালিকেরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “করোনা বুঝি না বুজিনা, আরও ইট তৈরির কাজ চালিয়ে যেতে হবে। নইলে ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে শ্রমিকেরা বাড়ি যেতে হবে।”
রহিমা ব্রিকস’, ‘সৌসিফ ব্রিকস’ ও ভবাণীগন্জ ব্রিক্স এর একাধিক শ্রমিক আক্ষেপ করে জানান, মালিকপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ‘আমাদের (শ্রমিক) নাকি টাকা দিয়ে কেনে আনছে তাই করোনা’র ভয় নেই।’ এ পরিস্থিতিতে আমাদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সম্মত খাবারের ব্যাপারেও কোনো ধরনের ব্যবস্থাই নেননি মালিকপক্ষ।
এদিকে মরণঘাতি করোনা ভাইরাস আতঙ্কে উপজেলার সবকটি ইটভাটার কার্জক্রম সাময়িক বন্ধের আদেশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে ইটভাটা দুটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন থেকে ব্রিক্স ফিল্ড (ইটভাটা) গুলো অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য আদেশ প্রদান করেন। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোবারক হোসেন জানান, যে সকল ইটভাটা আদেশ অমান্য করে তাদের ভাটার কাজ পরিচালনা করছেন আমরা তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিব।