স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ
সরকারের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম এর আওতায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মানিত জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খুলনা, জনাব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন’এর নির্দেশনায় খেটে খাওয়ামানুষেরমাঝেচাল,ডাল,আলু,তেল,লবণ,সাবানসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বিতরণ ও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে দাকোপ উপজেলায় সর্বত্র নিয়মিত মনিটরিং কাজ চলছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দাকোপে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি বিভিন্ন এলাকায় মনিটারিং ও দিনমজুর শ্রেনীর মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছে। বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে ১ জনকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ।
শনিবার সকালে উপজেলা সদরে দিনমজুর ভ্যান চালকসহ শ্রমজীবি শতাধীক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়।
বিতরনকৃত খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল পরিবার প্রতি ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, ১ লিটার সোয়াবিন তৈল, ১ কেজি লবন ও ২ পিচ সাবান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল ওয়াদুদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তারিফ -উল -হাসান, দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম চৌধুরী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের, দায়িত্বরত সেনা সদস্যবৃন্দ এবং উপজেলার বিভিন্ন দাপ্তরিক প্রধানবৃন্দ।
এরপর টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে উপজেলার বাজুয়া, দাকোপ, লাউডোপ, বানীশান্তা ও কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ভারত প্রত্যাগত বানীশান্তার ইউপি সদস্য ফিরোজ এবং কৈলাশগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মিহির মন্ডলসহ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়ী পরিদর্শন করেন।এদিকে টাস্কফোর্স টিম চেয়ারম্যান মিহির মন্ডলের বাড়ীতে অবস্থান কালীন চালনা আছাভুয়া এলাকার জনৈক খানজাহান মোল্যা নির্বাহী অফিসারের মোবাইলে রিং দিয়ে চেয়ারম্যান মিহির কোয়ারেন্টাইন অমান্য করে বাড়ীর বাইরে অবস্থান করছে এমন বিভ্রান্তিকর অভিযোগ আনেন।অথচ ঠিক সেই মুহুর্তে টাস্কফোর্সের সদস্যরা চেয়ারম্যানের সাথে তার বাড়ীতে কথা বলছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক অভিযুক্ত খানজাহান মোল্যার বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে করোনার মত ভয়াবহ দূর্যোগ কালীন সময়ে সরকারী কর্মকর্তাদের কাছে অসত্য অভিযোগ তুলে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা সহ বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের পোষ্ট দেওয়ার অভিযোগে তাকে ভৎসনাসহ দূর্যোগকালীন সময়ে তাকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ধরনের পোষ্ট না দেওয়ার জন্য কঠোরভাবে হুশিয়ারী উচ্চারনসহ নির্দেশ দেওয়া হয়।