শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগরে এক বাকপ্রতিবন্ধী ধর্ষণ চেষ্টায় স্থানীয় ইউপি সদস্যর বাড়িতে ভুক্তভোগীকে ডেকে নিয়ে লম্পট শরীফকে জুতা পেটা করে সমাধানের চেষ্টা করে রফিক মেম্বার। অন্যদিকে ভুক্তভাগী ন্যায় বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের সিংহের মাঝি পাড়া গ্রামের মৃত হাফিজউদ্দিনের বাকপ্রতিবন্ধি কন্যা শিউলী আক্তার (৩৮) এর ঘরে গত বৃহসস্পিতবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পার্শবর্তী মুন্সীর হাটি গ্রামের রফিকের পুত্র শরীফ (৩০) জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশ করে শিউলীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় শিউলীর চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে লম্পট শরীফ পায়ের জুতা রেখে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজনকে শিউলী আকার ইঙ্গিতে লম্পট শরীফের জুতা দেখিয়ে দেয়। এতে করে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে পরের দিন সকালে অতি উৎসাহি হয়ে স্থানীয় মেম্বার রফিক তার বাড়িতে শিউলীসহ লম্পট ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের ডেকে বিচার সালিশ করে মিমাংশা করে। ন্যায় বিচার না পেয়ে পরের দিন সকালে শিউলী প্রথমে কীটনাশক পান করে ও পরে বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন শিউলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
শিউলীর বড় ভাই শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় রফিক মেম্বার তার বাড়িতে আমাকে না জানিয়ে আমার বোনের বিচার সালিশে করে। শুনেছি লম্পটকে জুতাপেটা করে ঘটনার সমাধান দেয় মেম্বার। অপর বড় ভাই আব্দুল খালেকের স্ত্রী রেহেনা বেগম বলেন, কাউকে না জানিয়ে তরিঘরি করে বিচার সালিশ করে। ন্যায় বিচার না পেয়ে আমার বাকপ্রতিবন্ধি ননদ মনের দুঃখে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
এ বিষয়ে ষোলঘর ইউপি সদস্য মো. রফিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উভয় পক্ষের সম্মতিতে আমার বাড়িতে সালিসে বসা হয়েছিল। এর বেশী কিছু জানি না। আমি চেয়ারম্যান বাড়িতে আছি। আপনারা এখানে এসে কথা বলেন।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।