এনজিও’র ঋণ শ্রেণিকরণ আগামী জুন পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। রবিবার (২২ মার্চ) এ নির্দেশনা জারি করা হয়। সোমবার (২৩ মার্চ) তা বিভিন্ন এনজিও কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনার কারণে বিশ্ব বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতির এ নেতিবাচক প্রভাবের ফলে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণ গ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
যে কারণে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরটি বিধিমালা ২০১০ এর বিধি ৪৪ অনুসরণে ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত উক্ত ঋণ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।
তবে কোনও ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী শ্রেণিকরণ করা যাবে। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির পরিচালক মোহাম্মাদ ইয়াকুব হোসেন স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি সংস্থা আর্স বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শামসুল আলম বলেন, আজই (মঙ্গলবার) তারা নির্দেশনার চিঠি হাতে পেয়েছেন। এ নির্দেশনার ফলে আগামী জুন পর্যন্ত কোনও ঋণ গ্রহীতা কিস্তি না দিলে তাকে চাপ দেওয়া যাবে না।
সেইসঙ্গে নির্ধারিত সময় শেষে কোনও প্রকার জরিমানা ছাড়াই বকেয়া কিস্তি গ্রহণ করে ঋণ শ্রেণিকরণ করতে হবে। জানতে চাইলে শিশু নিলয় ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর (এসডিপি) রোজিনা আকতার বলেন, ‘আমরা এমআরএর নির্দেশনা পেয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের ফিল্ড পর্যায়ে তা অবহিত করা হয়েছে এবং তাদের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়েছে।
আর নিয়মের বাইরে ’ কেউ যাবে না, আমরা সরকারী নিয়মনীতি মেনেই কাজ করব।