সেপাল নাথ, ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধিঃ প্রানঘাতি করোনা ভাইরাসের মহামারি ধাক্কায় সারা বিশ্ব যখন টালমাতাল সময় পার করছে ঠিক তখন ছাগলনাইয়া হোটেল রেস্তোরাঁ ও ফুটপাতের খাবারগুলোর কর্তৃপক্ষ রয়েছে উদাসীনতার মধ্যে। ইতোমধ্যে স্কুল কলেজ বন্ধ করা হলেও খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো খোলা রয়েছে। ছাগলনাইয়া পৌর শহরে চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ী, কিছু অংশ খেটে খাওয়া ও পরিবার ছাড়া জীবনযাপন করা মানুষ খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ গুলোর উপর নির্ভরশীল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এসব হোটেল রেস্তোরাঁ কতটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সেই প্রশ্ন উঠেছে সর্বমহলে। ছাগলনাইয়া হোটেল রেস্তোরাঁর মালিক সংশ্লিষ্টরা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভোক্তারা ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। দেখাগেছে, খাবার হোটেল গুলোতে এখনও কোনো ধরনের প্রতিরোধী ব্যবস্থা ছাড়াই একসঙ্গে পাশাপাশি কয়েকজন বসে খাবার গ্রহণ করছেন ভোক্তারা। হোটেল কর্মীরাও কোনো ধরনের প্রোটেকশন ছাড়া আগের মতো খালি হাতে খাবার পরিবেশন করছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, নাগরিকদের প্রয়োজনে হোটেল রেস্টুরেন্ট গুলো খোলা রাখা যেমন প্রয়োজন, তেমনি এর পরিচ্ছন্নতা ও মান বজায় রাখার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। নয়তো এসব জায়গা থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ জনে জনে ছড়িয়ে মহামারি আকার ধারন করতে পারে। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো ছাগলনাইয়া এলাকায় সব ধরনের খাবার হোটেল-রেস্তোরাঁসহ ফুটপাতের দোকান বন্ধ রাখার জোর দাবি জানাচ্ছে সচেতন নাগরিকবৃন্দ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও ঝুঁকি এড়াতে ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের জনসমাগম, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হোটেল রেস্তোরাঁ গুলোতে প্রবেশের সময় জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধোয়াসহ বিভিন্ন হ্যান্ড স্যানিটাইজার জাতিয় কোনো কিছু ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। তবে ভিতরে বেসিনে সাবান বা তরল সাবান রয়েছে। খাবার শেষেও ব্যবহৃত প্লেট গ্লাসও এক জায়গায় স্তূপ করে আগের মতো সাধারণ পানি দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে।অনেক খেটে খাওয়া ভোক্তা জানান, সকাল দুপুর ও বিকালে আমাদের খেতে হয় এইসব হোটেল গুলিতে. করোনার ঝুঁকি জানলেও কিছুই করার নেই আমাদের। তারা (ভোক্তা) আরো বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে ছাগলনাইয়া হোটেলগুলো প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিতে পারে। চেয়ার গুলোর মধ্যে দূরত্ব রাখা, প্লেট গ্লাস ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভালো করে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা, এছাড়া হোটেল কর্মীরা প্রতিরোধী পোশাক পরিধান করলে ঝুঁকি অনেকটা এড়ানো সম্ভব।