সালে আহমেদ,ডেমরাঃ
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে থুবড়ে গেছে।করোনা ভাইরাস নিয়ে শঙ্কিত বিশ্বমহল।বিশ্বমহল আজ নিরুপায় ও অসহায় এই প্রানঘাতি করোনার আতঙ্কে।করোনা আতঙ্ক এখন বাংলাদেশে ও বিরাজমান।বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অনেক লোক আক্রান্ত হয়েছে।
এর মধ্যেই বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে লকডাউন করা হয়েছে।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।এর মধ্যে আশার বানী নিয়ে এসেছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ডেমরা ল,কলেজ কর্তৃপক্ষ।গত ১৮ ই মার্চ (মঙ্গলবার) ডেমরা ল‘ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আখনুন জাবীউল্লার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় যে,শিক্ষার্থীদের এক মাসের সম-পরিমান বেতন দিয়ে গরিব দুস্থদের চাল,ডাল, সাবান ও নিত্য প্রয়োজণীয় জিনিস বিতরন করার জন্য।বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয় কলেজের বারো মাসের বেতনের মধ্যে এগারো মাসের বেতন প্রদান করলে হবে।
ডেমরা ল‘,কলেজের প্রশংসনীয় উদ্যোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আখনুন জাবীউল্লাহ বলেন,আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল কলেজের শিক্ষাথীদের নিয়ে এরকম একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়ার।হঠাৎ করে শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের নোটিশ হলে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য তাই অার একসাথে বসা হলো না,পরে শিক্ষাথীদের একটি নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করার সিদ্ধান্তেে উপনিত হলাম। প্রশংসনীয় উদ্যােগ এর অনুভূতির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদকে বলেন, করোনো জন্য অাল্লাহর কাছে প্রার্থনা চাওয়া ছাড়া উপায় নেই। যে যার অাঙ্গিকে যতটুকু পারা যায় মানবতার সেবায় এগিয়ে যেতে। মনে রাখতে হবে এই দুঃসময়ে অাপনার একটু সাহায্য- সহযোগিতার পারে একটি জাতিকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে।
উল্লেখ্য যে, প্রবাসীদের দেশে আসার পর হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।অনেক প্রবাসীরা ইতিমধ্যে আক্রান্ত হওয়ার পর অবাধে বিচরন করছেন এবং হাসপাতাল থেকে ও পালিয়ে যাওয়ার খবর গনমাধ্যমে শোনা যাচ্ছে।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডা. টেড্রোস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেছেন, ‘এই ঘোষণার মূল কারণ চীনে যা হচ্ছে তা নিয়ে নয়, বরং অন্যান্য দেশেও করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তার জন্য।’
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, চীনের বাইরে ১৮টি দেশে করোনা ভাইরাসে প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে জার্মানি, জাপান, ভিয়েতনাম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানুষে-মানুষে সংস্পর্শের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডা. টেড্রোস এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে চীনের নেওয়া ব্যবস্থাকে ‘অসাধারণ’ বলে প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিনে মানুষে-মানুষে সংস্পর্শের মাধ্যমে এই ভাইরাস যেভাবে কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে তা উদ্বেগের ব্যাপার।’
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। চীন ছাড়াও থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ ১৮ দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।