জেনে নিন কত ডিগ্রি তাপমাএা হলে করোনা মরে যায়
১.চীনের উহানের তাপমাএা ছিল ১৫ ডিগ্রির নিচে ও কাছাকাছি।
২. ইরানে ১০ ডিগ্রির কাছাকাছি।
৩. দক্ষিণ কোরিয়ায়ও ১০ ডিগ্রির অনেক নিচে।
৪. ইতালিতে ১৫ ডিগ্রির নিচে।
অর্থাৎ মোটামুটি ১৫ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা আছে এমন ক্ষেত্রে করোনা খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।
-কত তাপমাত্রা নিরাপদ?
এ পর্যন্ত প্রায় সব গবেষণা ও বিশেষজ্ঞরা মোটামুটি একমত যে, তাপমাত্র ২১-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে করোনা ভাইরাস টিকতে পারে না। যেমন;
১. হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. প্রফেসর জন নিকোলস বলেছেন, সূর্যের আলো, তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতায় করোনা টিকতে পারে না। সূর্যের আলো ভাইরাস অর্ধেক ক্ষমতা শেষ করে দেয়। বাকি অর্ধেক ২ থেকে ২০ মিনিট টিকে থাকে।
২. জার্মান সেন্টার ফর এক্সপেরিমেন্টাল এন্ড ক্লিনিক্যাল ইনফেকশন রিসার্স সেন্টারের গবেষক থমাস পিচম্যান বলেছেন, সূর্যের তাপে ভাইরাসটি টিকতে পারে না।
৩. জার্মানির জার্নাল অব হসপিটাল ইনফেকশনের প্রকাশিত রিসার্সে বলা হয়েছে, ভাইরাসটি ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৫ দিন বাঁচতে পারে। সর্বোচ্চ ২৫ ডি.সে. এ কয়েক দিনের বেশি বাঁচে না।
– বাংলাদেশ কেন মুক্ত?
আসুন দেখে নেই চলতি মাসের তাপমাত্র; ১ মার্চ থেকে আজ ১২ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩২, ৩১, ৩০, ৩০, ৩০, ৩১, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আক্রান্ত দেশগুলোর তুলনায় শুরু থেকেই বাংলাদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা করোনা ধ্বংসে তাপমাত্রার যে সীমা বলছেন তার থেকে বাংলাদেশের তাপমাত্রা অনেক উপরে। সুতরাং বাংলাদেশে করোনা ছড়ানোর সুযোগ আপাতত নেই। প্রাকৃতিক এই প্রতিষেধকে ঢেকে আছে আমাদের সোনার বাংলা। সৃষ্টি কর্তার এটি অশেষ কৃপা।
সুতরাং প্যানিক ছড়ানো বা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। স্বাভাবিক জীবনযাপন করুন। যদি এখানে করোনার রোগী বাইরে থেকে ভাইরাস নিয়ে আসেও আর তাপমাত্রা এমনই থাকে তাহলে ভাইরাস প্রাকৃতিকভাবে নির্মূল হয়ে যাবে। তবে নিজেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। পরিবার-পরিজন সবাই সুস্থ্য থাকুন। সচেতন হোন, ভালো থাকুন, সৃষ্টিককর্তার উপর ভরসা রাখুন।