বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার। সনাতনীদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সকলকে একত্রিত হতে হবে ছাগলনাইয়া সেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ মুন্সীগঞ্জে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয়
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

অপহরণের ৩মাস পর প্রবাসীর স্ত্রী উদ্ধার, গর্ভের সন্তান মেরে ফেলার অভিযোগ হাজির মিষ্টি মেলার মালিক রিয়াদ ও তার পিতা সফি উল্যাহ’র বিরুদ্ধে- দৈনিক বাংলার অধিকার

অধিকার ডেক্স / ৪৬৩ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০২০, ১:১৫ অপরাহ্ণ

সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি:
ফেনীর সোনাগাজীতে অপহরণের তিনমাস পাঁচদিন পর ধর্ষণ মামলার বাদি এক প্রবাসীর স্ত্রীকে (২১) ফেনী শহর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৪ মার্চ) রাতে ফেনী শহরের পূর্ব দেবীপুর এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। জেঠা শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করায় গত ৯ ডিসেম্বর ফেনীর আদালতপাড়া থেকে তিনি অপহরণের শিকার হন।

উদ্ধারের পর ওই নারী পুলিশকে জানায়, অপহরণের তিনদিন পর রাতের বেলায় ফেনী শহরের একটি বাসায় নিয়ে তার জেঠা শ্বশুর শফি উল্যাহর ছেলে মো. রিয়াদ ও ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ছোট ধলিয়া এলাকা মোরশেদ আলম স্বপনসহ তিনজন মিলে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওষুধ খাইয়ে এবং ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে ফেলেন। এর কিছুক্ষণ পর তার মৃত সন্তান প্রসব হয়। পরে তাকে ওই বাসায় বেধে রেখে সন্তানটি রিয়াদ ও মোরশেদ অন্য কোথাও নিয়ে গেছে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার ছাড়াইকান্দি এলাকার এক ওমান প্রবাসীর স্ত্রী তার জেঠা শ্বশুর শফি উল্যাহকে আসামি করে গত ২২ নভেম্বর সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

এতে বলা হয়, ওই নারীর স্বামী দুই বছর আগে ওমান চলে যান। গত বছরের ১৮ জুন ওই ঘরে অন্য কেউ না থাকায় তাকে (নারী) একা পেয়ে ধর্ষণ করেন জেঠা শ্বশুর শফি উল্যাহ। পরে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারেন ওই নারী গর্ভবর্তী।

মামলা দায়েরের পর ২৬ নভেম্বর অভিযুক্ত শফি উল্যাহ ফেনীর আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। এসময় মামলার বাদিও একই আদালতে হাজির হন। বাদি আদালতে লিখিত আবেদনে এ মামলার আসামিকে জামিনের আপত্তি নেই বলে জানান।
লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওই ঘটনার রাতে একজন অপরিচিত লোক তার ঘরে ঢুকে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। তার শ্বশুরদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকায় শাশুড়ির কথামতো ওই মামলা করেছেন।

পরে ওই মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে আদালতের আদেশে বেঞ্চ সহকারী রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে ফেনীর আদালতে মিথ্যা মামলা করায় আরেকটি মামলা করেন। পরে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা করায় বাদিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত।

গতকাল রোববার সোনাগাজী মডেল থানায় ধর্ষণ মামলার বাদি ওই নারী পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, আমি লেখাপড়া জানি না। একজন আইনজীবী, রিয়াদ ও মোরশেদ মিলে আমাকে মামলায় সহযোগিতা করার কথা বলে একটি কাগজে আমার নাম লিখে নেয়। তারা আমাকে অনেক ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়েছে।

গত ৯ ডিসেম্বর কারাগার থেকে আমি বের হলে রিয়াদ ও মোরশেদ আমাকে একটি গাড়িতে করে একটি বাসায় নিয়ে আটক করে রাখে। দুই-তিনদিন পর তার মগদু’জনসহ আরও একজন মিলে আমাকে জোরপূর্বক ওষুধ খাইয়ে ও ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে আমার সন্তানকে মেরে ফেলে। পরে আমার মৃত সন্তান প্রসব হয়। তখন আমি সাত মাসের অন্তসত্ত্বা ছিলাম।

এরপর তারা আমাকে টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করাসহ বিভিন্ন ধরণের প্রলোভন দেখিয়ে টাঙ্গাইলে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় রেখে আসে। সেখানে রিয়াদের একবন্ধু আমাকে বাজার করে দিত। আমি বাসা থেকে বের হতে পারতাম না। প্রায় দুইমাস পর আমি কৌশলে ওই বাসা থেকে বের হয়ে মুঠোফোনে আমার ছোট ভাইকে বিষয়টি বলি। পরে সে টাঙ্গাইলে গিয়ে গোপনে আমাকে ফেনী নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, ফেনী আসার পর আবারও রিয়াদ ও মোরশেদ আমাকে ধরে নিয়ে দেবীপুর একটি বাসায় আটকে রাখে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) মো. আনোয়ার হুসেন বলেন, শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনী পৌরসভার পূর্ব দেবীপুর এলাকার একটি বাসা থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মঈন উদ্দিন আহমেদ অপহরণের তিনমাস পর মামলার বাদিকে উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গর্ভের সন্তান নষ্ট ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভপাত করানোর অভিযোগে রিয়াদ ও তার বন্ধু মোরশেদসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!