হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রক্রিয়াধীন অবৈধ কমিটির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন চাঁদপুর জেলার সহকারী জজ (হাজীগঞ্জ) এর বিচারক মোঃ ইসমাইল।
০৩ মার্চ হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের ৪জনকে সভাপতি করে শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও জাল সনদ ব্যবহারের করা এনায়েত মজুমদারকে সাধারণ সম্পাদক করে গোপনে একটি সমাঝোতার ভিত্তিতে দু’বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হয়।
উক্ত কমিটি স্থগিতাদেশ চেয়ে ০৫ মার্চ বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের পক্ষে সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফের দায়ের করা দেওয়ানি ৬৬/২০২০ইং দায়েরের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন চাঁদপুর জেলার সহকারী জজ (হাজীগঞ্জ) এর বিচারক মোঃ ইসমাইল। অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবসহ হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদ্য ঘোষিত সভাপতি কামাল হোসেন,খালেকুজ্জামান শামীম,মহিউদ্দিন আল আজাদ,গাজী সালাউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মজুমদারকে বিবাদী করা হয়।
এ স্থগিতাদেশের ফলে হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নাম পদ ও পদবী ব্যবহার করে কোন ধরনের অবৈধ কমিটি করতে পারবে না।
গত বছরের ১৩ জুলাই ২০১৯ হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়। সম্মেলনে ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি ৩ জন সমান ভোট পায় অন্য প্রার্থী এক ভোট কম পায়। এদিকে সাধারন সম্পাদক পদে এনায়েত মজুমদার বিজয়ী হোন। নির্বাচন কমিশন বরাবরে সাধারণ সম্পাদকে পরাজিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান বাবলু গত ১৩ জুলাই এনায়েত মজুমদারের বিরুদ্ধে জাল সনদ ব্যবহার করে প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ২৬ জুলাই সাধারণ সম্পাদকে নির্বাচিত প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
০৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি পদে পুনঃ তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। ওই সভায় এনায়েত মজুমদার হট্রোগোল করে সভা পন্ড করে দেয়।
হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবে অন্যান্য পদে নির্বাচিত প্রতিনিধিগন সহ চার সভাপতি প্রার্থী ও সাধারণ সম্পাদকে পদত্যাগকারী এনায়েত মজুমদার গত ৩ মার্চে একটি গোপনে সমাঝোতা কমিটির প্রকাশ করে। এর সমন্বয় করে হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির মজুমদার।
নির্বাচন কমিশন ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য,অন্যান্য সকল সদস্যদের পাশ কাটিয়ে গোপন আতাত কমিটি করায় হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে আদালত হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার উপরে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।