আকাশ সরকার রাজশাহী ব্যুরোঃ
রামেক হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা অার অনিয়মে ভোগান্তির পরিমান বাড়ছে দিনকে দিন। গেট পাশের টাকা অাত্নসাৎ।রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন শতাধিক রোগীর স্বজনদের সঙ্গে প্রতারনা করছেন অানসার ও রোগী ধরার দালালদের সিন্ডিকেট সদস্যরা। নতুন রোগীদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তির ক্ষেত্রে কোনটি অাগে প্রয়োজন মূর্মুর্ষ রোগীকে চিকিৎসা সেবা অাগে? নাকি অাগে হাসপাতাল কতৃপক্ষের নিয়ম অাগে?ষোল (১৬)জেলা সহ খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া সহ এ অঞ্চলের সমস্ত মূর্মুর্ষ রোগীরা রাজশাহী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে বিড়ম্বনায় পড়েন দালাল সিন্ডিকেটের হাতে। এই বিড়ম্বনা শুরু হয় প্রথমে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে, সেখানে থাকে না ডাক্তার তারা থাকে বেশিরভাগ সময় টেলিভিশন রুমে,ডাক্তার, ব্রাদার ও অায়াদের খপরে পড়তে হয়। তারা কোন রকম রোগী দেখে সরাসরি বিভিন্ন ওর্য়াডগুলিতে পাঠায়। এখানেই শেষ নয়, একজন বয়স্ক বাবাকে ওর্য়াডে নিয়ে যাবার জন্য টলির প্রয়োজন। কিন্তু ঐ রোগীর ছেলের কাছে টাকা না থাকায় জরুরি বিভাগের সামনে চুক্তিভিক্তিক কিছু পুরুষ ও মহিলারা টলি গুলো জিম্মি করে রাখে। ২০০-৫০০ টাকা দিলেই রোগী পৌছায় দেই ওর্য়াডে। এই অসহায় গরীব ছেলে টাকা না দিতে পারায় বয়স্ক বাবাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঘাড়ে করে নিয়ে ছুটে যায় ওর্য়াডে। ওর্য়াডে গেলেই যে চিকিৎসা পাওয়া যাবে এর কোন নিশ্চয়তা নাই। তার বিপরীত চিত্র ওর্য়াডে, ইর্ন্টান চিকিৎসক, নার্স, ওর্য়াড বয়দের সিন্ডিকেটের খপরে পড়তে হচ্ছে।আর পেতে হচ্ছে দূর্ব্যবহার ও অবহেলা, হাসপাতালের নোংরা, টয়লেটের দরজা ভাঙ্গা, ব্যবহারের অনুপযোগী, দূর্গন্ধ, মশা, মাছি,কুকুর বিড়ালের অানাগোনা, রোগীদের খাবারের গুনগত মান ঠিক নাই। হাসপাতালে রোগী ধরার দালাল ও চোরের উপদ্রব, অারো অাছে কোন রোগী মারা গেলে লাশবাহী গাড়ীর সিন্ডিকেট। অথচ হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদ আছে। খবরের কাগজ ও টেলিভিশনে এত প্রতিবেদন প্রচারের পরেও কেউ কোন তোয়াক্কা করছে না এবং কোন ব্যবস্থাও নেই না। এই তো গত বছর নগরীর বিলসিমলার বাসিন্দা সিন্ধা লাবনী (৩৫) নামে গত বছরে কতিপয় একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তার শরীলে একটি অস্ত্রোপাচার করে এবং তাকে ভূল চিকিৎসা দেয়। পরবর্তীতে সে সুচিকিৎসার জন্য পার্শ্ববতী দেশ ভারত যায়। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছে সে বাচার জন্য দেশের রাষ্ট্র এবং এই শহরের জিরো পয়েন্টে দাড়িয়ে এই পৃথিবীতে বেচে থাকার জন্য অাকুতি জানিয়েছিলেন কিন্তু তার অার শেষ রক্ষা হয় নি। ফুলের মত দুটি নাবালক বাচ্চা রেখে চলে যান না ফেরার দেশে। এটার দায়ভার কার? সরকারি হাসপাতালের বাহিরে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে ওঠেছে ক্লিনিক ও প্যাথলজি।সেখানে রোগী গেলেই ডাক্তার ৮০০-১০০০ টাকা ভিজিট নেয় অার তাৎক্ষণিকভাবে টেস্টের জন্য হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারপরও রোগীরা সুচিকিৎসা পায় না। এখন প্রশ্ন হলো সিভিল সার্জনের কাজ কি? অার হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের কাজ কি? রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ একটি সামাজিক সংগঠন। অনেকদিন যাবৎ অামরা এই হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, দূর্নীতি, কর্তব্যে অবহেলা, রোগীদের সাথে দূর্ব্যবহার খবরের কাজে দেখে অাসছি। এই মূর্হুতে হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে দাবি এই সকল সমস্যা সমাধান করে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন। অন্যথায় এই সকল সমস্যার সমাধান যদি না হয় তাহলে রাজশাহীর জনগন এর প্রতিকারের জন্য রাজপথে অান্দোলন করবে।