শামীমা নূর পাপিয়ার মদতদাতা ও সুবিধাভোগী অন্তত ৩০ জনের নাম পেয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া তাদের নাম প্রকাশ করেছে। জড়িতদের কার কি ভূমিকা ছিল- এখন এ তথ্য বের করা হচ্ছে। তালিকায় নাম আসাদের কেউ কেউ প্রভাবশালী। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওইসব প্রভাবশালীদের ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য গ্রীন সিগন্যাল দিয়েছেন। তদন্ত শেষেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ২২শে ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট, জাল টাকা ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। রাজধানীর দুই থানা বিমানবন্দর ও শেরেবাংলানগরে দায়ের হওয়া মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ডে আছেন পাপিয়া।
মামলার প্রধান সমন্বয়কারী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (উত্তর) মো. মশিউর রহমান মানবজমিনকে জানান, ‘পাপিয়ার বিষয়টির তদন্ত অব্যাহত আছে।’ র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল জানান, গ্রেপ্তার হওয়া পাপিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা তদন্ত করছি।’
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ পাপিয়াকে গ্রেপ্তার করেনি র্যাব। তার বিষয়ে র্যাবের গোয়েন্দারা দীর্ঘ ৩ মাস ধরে তদন্ত করে আসছিলো। তারা তার অপকর্মের ৪টি নথি তৈরি করে। তদন্তকালীন নজরদারিতে ছিলেন তিনি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিগন্যাল পাওয়ার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্র জানায়, বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার পর র্যাব-১ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় পাপিয়া অনেককেই ফোন করলেও কেউ রেন্সপন্স করেনি। এসময় সে চুপসে যায়।
সূত্র জানায়, এসময় র্যাব তার তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করে। একটি ফোনে তার ২ হাজার নম্বর সেভ ছিল। সেখানে তার গডফাদারদের নম্বর পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি গডফাদারদের নাম বলেন। সূত্র: মানবজমিন।