র্যাবের হাতে আটক যুব মহিলা লীগ থেকে সদস্য বহিষ্কৃত শামিমা নূর পাপিয়ার কাছে থাকা মোবাইল ফোনে বেশ কিছু অশ্লীল ভিডিও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল। ইতোমধ্যে কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে বলে বলেও জানান তিনি।
শনিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল আরও বলেন, এই ধরণের ভিডিও যে কোনো নারীর জন্য আপত্তিকর ও অনৈতিক। পাপিয়ার আয়কর ফাইল তলব করে দেখা গেছে, সেখানে তিনি বছরে ২২ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছেন। অথচ তার প্রতিদিন বারের বিলই আসে আড়াই লাখ টাকা। এত টাকার উৎস কোথায়? জানতে চাইলে পাপিয়া র্যা বকে জানিয়েছেন, যারা হোটেলে আসতেন, তাদের কাছে মেয়ে পাঠিয়ে দেয়া হতো। এরপর অশ্লীল ভিডিও তুলে ওই সব ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হতো। লোকলজ্জার ভয়ে কেউ মুখ খুলত না।
এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, এ রকম সাতজন উঠতি বয়সী তরুণীর সঙ্গে র্যাবের কথা বলা সম্ভব হয়েছে, যাদের মাসে ৩০ হাজার টাকা করে দিতেন পাপিয়া। বিনিময়ে তাদের ব্যবহার করা হতো। কেউ রাজি না হলে তাদের লাঠি দিয়ে পেটাতেন পাপিয়া। আবার কোনো মেয়ের আপত্তিকর ছবি বড়লোক কাস্টমারদের মুঠোফোনে পাঠিয়ে দিয়ে আগ্রহ তৈরি করতেন।এরপর ওই লোকগুলো এলে তাদের জিম্মি করা হতো বলে জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক।
তিনি বলেন, পাপিয়া ও তার স্বামীর সুনির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। কিন্তু খুব অল্প সময়েই তারা বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাপিয়ার ব্যাপারে অনুসন্ধান করছিল র্যাবের একটি দল। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শনিবার তড়িঘড়ি করে দেশত্যাগের চেষ্টা চালান তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। সহযোগীসহ র্যাবের হাতে ধরা পড়েন পাপিয়া।