সিরাজুল ইসলাম লক্ষ্মীপুরঃ
লক্ষ্মীপুরে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা নিহত ৪ জন ও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় যাত্রীবাহী একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উপজেলার বটতলী এলাকার ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে দালাল বাজারের মাইলের মাথা নামক স্থানে দুটো ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে দুটো ট্রাকেরই চালক ও তার সহযোগী এবং চন্দ্রগঞ্জ থানার আন্ডার ঘর নামকস্থানে আনন্দবাস দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী সহ ১৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে থেকে সদর উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল সহ নোয়াখালীর বিভিন্নি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতরা হলেন- আবদুর রহিম, জামাল উদ্দিন, রুনু আক্তার ও তার শিশু ছেলে মোহাম্মদ হোসেন। গুরুতর আহত রুবি আক্তারসহ দুইজন। নিহত রুনু আক্তার, তার শিশু সন্তান ও আহত রুবি আক্তার নোয়াখালী জেলার চাটখিল এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানান, সকালে জেলার রায়পুর থেকে নোয়াখালির চৌমুহনী যাওয়ার পথে আনন্দ বাস চন্দ্রগঞ্জের আন্ডারঘর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে নারী-পুরুষ সহ ১০ জন আহত হয়। এছাড়াও পৌর শহরের ঝুমুর এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক কলেজ শিক্ষার্থী আহত হয়। এছাড়াও সদর উপজেলার দালাল বাজার এলাকায় মাইলের মাথায় দুইটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
লক্ষীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন সকাল থেকে পৃথক ৩টি সড়ক দৃর্ঘটনা ২০ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে যাত্রীবাহী একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও একটি প্রাইভেটকার (পাজেরো) গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অটোরিকশাটি চন্দ্রগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল, বিপরীত দিক থেকে আসছিল প্রাইভেট কারটি। এ ঘটনায় সিএনজি চালক ও যাত্রীসহ ৬ জন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ৪জনকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত বাকি দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন এবং নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।