অন্যদিকে তাকে নিয়ে কত রটনা রটেছে। ফোনে না পাওয়ার কারণ হিসেবে জানালেন, ফোনের ব্যাপারে একটু কেয়ারলেস। সেক্ষেত্রে একটা ক্ষুদে বার্তা পাঠাতে বললেন।
তবে এই যে গুঞ্জন তিনি দেশের বাইরে আছেন, সে ব্যাপারে বোঝা গেল তার কল রিসিভ করাতেই। তবে গুঞ্জনে একেবারে মিথ্যেও নয়। সে সত্যতা তিনি স্বীকার পেলেন। তিনি বলেন,‘যে কোনো ছবির কাজ শেষ হলে, অনেকে যোগাযোগ করে না পেলে তখন বলে আমি উধাও, পাচ্ছে না। দেশে নাকি বিদেশে, এই সেই অনেককিছু রটে যায়। কিছুদিন আগেও ‘উধাও হয়ে গেছি’ -এরকম বলেছিল অনেকে। আমি বলেছিলাম নতুন ছবির প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরপর ঠিকই কিন্তু ‘বীর’ এবং ‘ক্যাসিনো’ দুটি নতুন ছবির শুটিং শেষ করেছি। গত বছরও একই কাহিনি। একটু বিরতি নিয়ে পরে ‘পাসওয়ার্ড’ এবং ‘মনের মত মানুষ পাইলাম না’ ছবির কাজ করেছি।’
দেশের বাইরে যাওয়া হয়েছে? ‘আসলে কাজের চাপ একটু কম থাকলে পরিবারসহ দেশের বাইরে ঘুরতে যাই কয়েকদিনের জন্য। নতুন নতুন খাবার, নতুন জায়গা, নতুন কালচার এক্সপ্লোর করতে আমার ভালো লাগে। আব্বু আম্মুসহ আমার বোনেরা দুলাভাইসহ তাদের বাচ্চারাও থাকে এসব ভ্রমণে। এবার বড় আপুর বাচ্চাটা একটু অসুস্হ হয়ে গিয়েছিল তাই মাঝে ওরা সিংগাপুরে গিয়েছিল। কারণ আপুরাও তো ওদের জীবন নিয়ে ব্যস্ততায় থাকে তাই ভেবেছিলো হয়তো এর মধ্যে আমি আম্মুকে নিয়ে যাচ্ছি কিনা ঘুরতে। তাই হয়তো ওভাবে কোথাও কাউকে বলেছিল। গত বছর যেমন আমরা সবাই শুরুর দিকে মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম। মাঝের দিকে লন্ডন গিয়েছিলাম’
ব্যক্তিগত গুঞ্জনকে তিনি গুঞ্জন হিসেবেই ধরে নিলেন। তবে তার শারীরিক গঠন নিয়ে জানান, ‘আসলে বীরের জন্য আমাকে কিছু ওজন বাড়াতে হয়েছিল। কারণ আমার চরিত্রটিই ছিল খুব সাধারণ একটি মেয়ে, যাকে প্রত্যন্ত একটি গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে আসা হয়। চরিত্রের জন্য আমাদের ওজন বাড়ানো কমানো সবই করতে হয়। সেজন্য কারো কাছে অন্যরকম লাগতে পারে। চিন্তার কারণ নেই, কিছুদিন পরেই পরের ছবির জন্য আবার ওজন কমিয়ে আগের বুবলী হয়ে আসছি। মজার একটা জিনিস শেয়ার করি, ‘সুপারহিরো’ ছবির গানে একটি ড্রেস এবং ক্যামেরার অ্যাংগেলের সমস্যার কারণে তখন নানান কথা উঠেছিল। কই তারপর তো সবই ঠিকঠাক!’