মোঃ আলী মুবিন:
মিরপুর বেনারশী পল্লির দোকানে ভ্যাট কর্মকর্তাদের হানার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও পথসভা করেছে বেনারশী পল্লী মালিক সমিতি। অবশেষে স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে দোকান খুললো তারা। বুধবার বিকেলে এ মানবন্ধন ও পথ সভা অনুষ্টিত হয়। বেনারশী পল্লী মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ কলিমউদ্দিনের সভাপতিত্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘আমি আপনাদের এমপি। আমি আপনাদের দায়িত্ব নিলাম। ভ্যাট দিবে কি দিবে না তা আমি বলবো। বিষয়টি আমার উপর ছেড়ে দিন। আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এর সমাধান করবো। আপনারা আপনাদের মতো ব্যবসা করুন। এখন থেকেই দোকান খুলে দিন। ভ্যাট কর্মকর্তারা আড়াই লাখ টাকার শাড়ী পঞ্চাশ হাজার টাকায় নিবে আর ভ্যাট চাইতে আসবে তা মেনে নেয়া যায় না।’
বক্তারা বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাদের ভ্যাট অফিস থেকে বলা হয় তারা নতুন রেজিস্ট্রেশন দিবে। এজন্য জাতীয় পরিচয় পত্র, ট্রেড লাইসেন্স ও একটি ব্যাংক একাউন্ট লাগবে। আমরা ট্রেড লাইসেন্স শাখায় যোগাযোগ করলে তারা আমাদের ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ দিতে অপারগতা জানান। তারা বলেন, ‘এ এলাকা আবাসিক এলাকা। আমরা দীর্ঘদিন যাবত এখানে ব্যবসা করে আসছি এবং ভ্যাট দিয়ে আসছি। আবাসিক এলাকা বলে ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হবে না। তাহলে আমরা এখন কি করবো। অন্যান্য শাড়ী ব্যবসায়ীদের মতো আমাদের ওই আওতায় আনার দাবী করছি। আমরা সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স দিয়েই ব্যবসা করতে চাই। এজন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ব্যবসায়ীরা দাবী করেন, আমাদের এখানে ভ্যাট কর্মকর্তারা নাম মাত্র দাম দিয়ে দামী দামী শাড়ি নিয়ে যায়। কিছু বলতে গেলে বিভিন্ন হুমকীর সম্মূখীন হতে হয়।’
বেনারশী কুঠির স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ (বাবু) বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে আমার দোকানে কয়েকজন ভ্যাট কর্মকর্তা ঢুকে ভ্যাট দাবী করেন। আমি বললাম আমরা প্রতি মাসে নিয়মিত ভ্যাট দিচ্ছি। তাতে তারা সন্তুষ্ট না বলে নানান। আমরা প্রতি মাসে ৫ হাজার পরবর্তীতে ১০ হাজার টাকা করে ভ্যাট দিয়ে আসছি। বর্তমানে আমরা প্রায় ১শ দোকান মিলে প্রতি মাসে সরকারকে ৪ লাখ টাকা ভ্যাট দেই। এক পর্যায়ে ভ্যাট কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে আমাদের কথা বলতে বলেন।’
এ ব্যাপারে বেনারশী পল্লী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাশেম বলেন, আমি লোক মারফতে জানতে পারি যে, ভ্যাট কর্মকর্তারা বেনারশী কুঠির ৩নং শাখায় ঢুকছে। আমি সেখানে যাই এবং দোকানে ঢুকতে চাইলে কর্মকর্তারা আমাকে দোকানে ঢুকতে দেয়নি। তারা ভিতর থেকে আমাকে বলেন আমরা প্রতিটি দোকানেই যাবো। এ কথা শুনে আমার সাথে আরও অন্য ব্যবসায়ীরা ছিলো। তারা সকল দোকান বন্ধ করে দেয়। ওনারা আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধমকী দিয়ে যায়। যার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন ও সভা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক হালিম মোল্লা, সহসভাপতি হাজী আমানউল্লাহ আমান প্রমূখ।