বিশেষ প্রতিনিধি: বেনাপোল স্থলবন্দর উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) রেজাউল ইসলামের অবৈধভাবে বিদেশ যাত্রা ও তার বিরুদ্ধে ডলার ও রাষ্ট্রীয় তথ্য পাঁচারের অভিযোগ উঠেছে। জানাযায়, বিগত ০৪ আগস্ট ২০১৯ তারিখ রবিবার বহি:বাংলাদেশ ছুটি মঞ্জুর পূর্বক ভারতে গমন করেন তিনি। ভারত থেকে ফিরে আসেন ০৮ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার যার পাসপোর্ট নং ইজ
০১৪৪৮১৪।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন জানান, ‘মো: রেজাউল ইসলাম সরকারী চাকুরী করেও কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে লক্ষ লক্ষ ডলার এবং রাস্ট্রীয় তথ্য পাচারের জন্য বহি:বাংলাদেশ ছুটি এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পর পর দুইবার যথাক্রমে ২৫অক্টোবর ২০১৯ তারিখে ভারত গমন ২৬ অক্টোবর ২০১৯ বাংলাদেশে ফেরত ২৮অক্টোবর ২০১৯ তারিখে ভারত গমন ৩০নভেম্বর ২০১৯ বাংলাদেশে ফেরত আসেন।’ উক্ত কর্মকর্তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করেন অনেকে। বেনাপোল স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিধি অনুযায়ী একজন সরকারী কর্মকর্তা বিদেশ যেতে হলে তাকে অবশ্যই তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিকট হতে বহি:বাংলাদেশ ছুটি নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু রেজাউল ইসরাম সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পর পর দুইবার ভারত ভ্রমন করেছেন। তারা আরো জানান, রেজাউল ইসলাম ভারত যাওয়ার সময় লক্ষ লক্ষ ডলার ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঁচার করতেই এরকম অবৈধ পন্থা বেছে নিছে। তার অবৈধ অর্জনের টাকা দিয়ে যশোরে একটি বিরাসবহুর বাড়ী ক্রয়সহ নামে বেনামে অনেক সম্পদ গড়েছেন।
তার স্ত্রী ও নিকটতম আত্মীয় স্বজনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা রেখেছেন। এ বিষয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থলবন্দর উপপরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, আপনাদের জানা থাকলে যা কারার করুন।