এই মন্দির ও মায়ের মূর্তির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য তাঁর শাসন কালে।
সম্ভবত এই মন্দির তিনি প্রতিষ্টা করেন 346 খিরষ্টপূর্বে। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এর সাম্রাজ্য তখনকার অখন্ড ভারত যা এখনকার ভারত , পাকিস্তান , আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, কাজকিস্তান, ইত্যাদি দেশে বিস্তৃত ছিল।
২৫০০ বছরের পুরানো রক্ষাকালীর আজও রয়েছে আফগানিস্তানের বামিয়ান গ্রামে কাবুলের কাছে অবস্থিত।
তিনি তাঁর পরিবারের মঙ্গলকামনার জন্য এখনকার আফগানিস্তান এর কবুল এর কাছে এই রক্ষাকালী মন্দিরের প্রতিষ্টা করেন ও দেবীর নিত্য পূজা শুরু করেন।
তৎকালীন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এর শাসিত অঞ্চলের ম্যাপ ওই লাল চিহ্নিত স্থানে তিনি মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন।
বর্তমানে আফগানিস্তান এর ম্যাপের মধ্যে ওই মন্দিরের
অবস্থান চিহ্নিত করা আছে।
অশান্ত আফগানিস্তান এর এত বোম-বাড়ি, গুলি ,যুদ্ধের মধ্যেও এই পৌরাণিক রক্ষাকালীর মন্দির টি আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। শুধু রক্ষণাবেক্ষণ এর অভাবে মন্দিরটির অবস্থা ভগ্নপ্রায়।
আফগানিস্তান একটি ইসলামিক দেশ মাত্ৰ হাতে গোনা কয়েকটি হিন্দু পরিবার কাবুলের আশেপাশে বাস করেন।
তাদের ও ওই মন্দিরে পুজো দেবার অধিকার নেই।
আফগানিস্তান অতীতে হাজার হাজার হিন্দু মন্দির ও মূর্তি ভেঙে দিয়েছে তার প্রমান ওই দেশে গেলে, এখনো ওই মন্দির ও মূর্তির ভগ্নাবশেষ পাওয়া যায়।
কিন্তু অবাক ব্যাপার হলো আফগানরা সব মন্দির ভেঙে দিলেও তারা আজ পর্যন্ত এই পৌরাণিক রক্ষাকালীর মন্দির ভাঙতে পারেনি। এমনকি এত যুদ্ধের মদ্দ্যেও আজ এই মন্দির মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে