ফরিদ মিয়া, নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা রসুলপুর গ্রামের আঃরশিদের ছেলে মিজানুর রহমান ইউটিউবে মুরগী পালন প্রতিবেদন দেখে ইচ্ছে জাগে দেশি মুরগি পালন করার।
মিজানুর রহমান ঢাকায় কনেকষ্টশর সাইডে কাজ করত তখন তার পরিবাবের খরচ যোগানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পরে। আর মিজানুর রহমান কষ্টের কাজ ও করতে পারেনা এক পর্যায়ে মিজানুর রহমান হতাশ।
টিক তখনি একদিন বন্ধু বান্ধবের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিল এক বন্ধু মোবাইলে ইউটিউব দেখছিল টিক তখন তার চোখে পড়লো মুরগী পালনের এক প্রতিবেদন, তখন সকল বন্ধুরা মিলে প্রতিবেদনটি দেখে , তার মধ্যে মিজানের মুরগি পালনের আগ্রহ জাগে।
মিজানুর রহমান কনেকষ্টেশন সাইডের কাজ বাদ দিয়ে ২০১৯ সালে বাড়ি ফার্ম করার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু পরিবারের সমর্থন না পাওয়ায় সে মোটামোটি হাতাশ।
টিক তখন মামার বাড়ি যায় মিজানুর রহমান। সেখানে মামির কাছে ফার্ম করার আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি বলেন পাশের একটি ঘর খালি পরে আছে সেখানে আল্লাহর নামে শুরু করো।
মিজানুর রহমানের মামার বাড়ি নান্দাইল চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া গ্রামে।
মিজানের কাছে ছিলো অল্প কিছু টাকা আর তার ছোটা বোনের কাছ থেকে কিছু টাকা হাওলাত নিয়ে পনেরটা মুরগি কিনে শুরু করে তার খামার।
মুরগি কিনার কিছু দিনের মধ্যেই মুরগি ডিম দেওয়া শুরু করে। তখন মাথায় আসে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর, তখন আবার ইউটিউবে ঘাটাঘাটি শুরু করে কৃত্রিম উপায়ে বৈদ্যুতিক তাপ দিয়ে বাচ্চা ফুটিয়ে এখন সে ৫৬০ টি মুরগির মালিক।
কোন প্রশিক্ষন ছাড়াই মিজান ইউটিউব দেখে আজ সফল খামারি।