মোঃ জুয়েল রানা ( নীলফামারী প্রতিনিধি) নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের ৮শ’ একর জমির মধ্যে সাড়ে ৪শ’একর জমি গ্রাস করেছে অবৈধ দখলদারেরা। অবৈধভাবে দখলে নেয়া এসব জমির উপর প্রভাবশালীরা নির্মাণ করেছে ৪ হাজারেরও বেশী কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ী আর আকাশ ছোয়া বহুতল ভবন। গড়ে তুলেছেন বিপুল সংখ্যক বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। রেলওয়ে কারখানার শ্রমিকদের বসবাসের জন্য ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ২ হাজার ২শ’৫০টি কোয়াটারের মধ্যে ১ হাজার ৯শ’কোয়াটার চলে গেছে বেদখলে।
আজ বুধবার সকাল থেকে শহরের হাওয়ালদার পাড়ায় ১০৩টি অবৈধ অবকাঠামো উচ্ছেদ অভিযানে নামেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় স্টেট অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুজ্জামান। এ সময় তার সাথে ছিলেন র্যাব, পুলিশ আর রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। অবৈধ দখলদারদের নিজ নিজ অবকাঠামো সরে নেয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারো ১৫দিনের সময় বেধে দেয়া হয়। এ সময় সরকারী কাজে বাধা দেয়ায় নাদিম আহমেদ নামের ১ জনকে ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড আর ৩৩জনের নিকট থেকে আদায় করা হয় ১লাখ ১০হাজার টাকা জরিমানা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: নুরুজ্জামান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে-যেহেতু মানুষজন বাড়ি-ঘর সরানোর জন্য সময় চেয়েছে, সেজন্য ১৫দিন পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করি- এটা সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ বা নির্দেশনা দিয়েছে। তাই আমরা ভাঙ্গার কার্যক্রম আপাতত করছি না। তবে সরকারী জমি দখলে রাখার যে অপরাধ সেই অপরাধে আমরা ক্ষতিপূরণ বা জরিমানা আদায় করছি। সরকারী এ আদেশ যারা চ্যালেঞ্জ করবে তাদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার উদ্যোগ নিয়েছে।