এস ডি স্বপন,
সকলেই জানে হিন্দুরা গরুর মাংস খায়না কিন্তু গরুর দুধ খায়। পাশাপাশি অনেকেই গরুর চামড়ার জুতাও পড়ে। অনেক হিন্দু আছে যাদেরকে এই বিষয়ে যুক্তি দিতে বলা হলে, তারা সুস্পষ্ট কোন যুক্তি দাড় করাতে পারেনা। এই বিষয়ে এক হিন্দু পণ্ডিতের সহিত এক অহিন্দু ব্যক্তির একান্ত সাক্ষাতকারে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আর সেই আলোচনায় সকল যুক্তি তুলে ধরা হলো। সম্পূর্ণ আলোচনাটি পড়লে আপনি এই বিষয়ে পুরোপুরিভাবে জানতে পারবেন।
অহিন্দু ব্যক্তি যখন হিন্দু পণ্ডিতকে প্রশ্ন করেন হিন্দুরা গরুর মাংস খায় না কিন্তু গরুর চামড়ার জুতা পরে, এই প্রসঙ্গে একজন হিন্দু পণ্ডিত হিসেবে আপনার মতামত কি?
অর্থাৎ, হিন্দুরা গরুর মাংস খায়না কেন?
পণ্ডিত বললেন, “আপনি কখনও শাড়ি পরেছেন??
অহিন্দু ব্যক্তি উত্তরে বললেন, “না আমি কি মেয়েলোক নাকি, যে শাড়ি পরব!!”
(চোখ রাখুন দৈনিক বাংলার অধিকার এ সারাদি)
পণ্ডিত আবার জিজ্ঞেস করলেন,
“আপনি কাঁথা গায়ে দেন?”
অহিন্দু ব্যক্তি বললেন “হ্যাঁ”
তখন পণ্ডিত বললেন উপযোগিতা অনুযায়ী দুইটা জিনিসের ব্যবহার ভিন্ন হতে পারে। যখন যার যেমন ব্যবহার।
তখন অহিন্দু ব্যক্তিটি ঠিক বুঝতে পারলেন না।
তখন পণ্ডিত আবার চেষ্টা করলেন…
ডাক্তাররা অঙ্গ প্রতিস্থাপন করেন তাই বলে কোন ব্যক্তিকে হত্যা করে নয়। তার মৃত্যুর পর। আর কোন ডাক্তার যদি কোন ব্যক্তিকে হত্যা করে তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করে ডাক্তারকে শাস্তি দেওয়া হবে কিন্তু মৃত মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করলে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। কাজ কিন্তু একটাই প্রেক্ষাপট ভিন্ন।
তারপরও অহিন্দু ব্যক্তিকে বুঝাতে পারলেন না। আবার চেষ্টা করলেন….
তখন অহিন্দু ব্যক্তিটি প্রশ্ন করলেন, তাহলে হিন্দুরা গরুর চামড়ার জুতা পায়ে দেয় কিভাবে? আর গরুর চামড়ার ঢোল বাজায় কিভাবে?
পণ্ডিত বললেন, হিন্দুরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ স্বরূপ গরুর মাংস খায় না কিন্তু তাই বলে শুধু জুতা বানানোর জন্য গরু হত্যা করে কিনা আমার জানা নেই। আর ঢোল, তা ছাগলের চামড়া দিয়ে তৈরি হয়। আর কেউ যদি গরুর চামড়া দিয়ে তৈরিও করে সমস্যা নেই ঐ যে শুরুতে বলেছিলাম উপযোগিতা!!!
যেমন মৃত মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করলে তাকে অসম্মান করা হয় না কিন্তু হত্যা করাটা অসম্মানের। হিন্দুরা গো-হত্যা করে না। এটাই তাদের গরুকে সম্মান দেখানো।
তাতেও অহিন্দু ব্যক্তিকে বুঝাতে পারলেন না।
অহিন্দু ব্যক্তি আবার জিজ্ঞেস করলেন, “একটি প্রাণী মানুষের মা হয় কেমনে??”
পণ্ডিত বললেন এখানে মা শব্দটি রূপক। গরু আমাদের দুধ দেয়, অন্ন যোগাড়ে সহায়তা করে। তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বশতঃ রূপক অর্থে আমরা মা বলে সম্বোধন করি।
অহিন্দু ব্যক্তি, ‘রূপক’ শব্দটি ঠিক বুঝল না। কারণ পাঠ্যবই পড়লেও তিনি বাংলা ব্যাকরণে দুর্বল।
(বিজ্ঞাপন দিন বিজ্ঞাপন পড়ুন)
পণ্ডিত বললেন “আপনার মা
আপনাকে “আয় আয় চাঁদ মামা” কবিতাটি পড়িয়েছে??”
অহিন্দু ব্যক্তি উত্তরে বললো “হ্যাঁ” পড়িয়েছেন।
তখন পণ্ডিত বললেন তাহলে তো আপনার মা আপনাকে ভুল শিক্ষা দিয়েছে।
একটি বস্তু মানুষের মামা হয় কিভাবে??
কিন্তু অহিন্দু ব্যক্তিটি এতোকিছুর পড়েও পায়ে চামড়ার জুতার বিষয়টা কোনোভাবেই মানতে পারল না।
পণ্ডিত বললেন “এই দেশ আমাদের মায়ের মতো। পায়ে এতই সমস্যা থাকলে আপনি পা নিয়ে মাটিতে চলবেন কিভাবে???
এবার বিজ্ঞ অহিন্দু ব্যক্তি জিজ্ঞেস করে বসলেন, “আপনারা গরুর মাংস খান না দুধ খান কেন??
পণ্ডিত বললেন, “আপনি কখনও মায়ের দুধ খেয়েছেন??
অহিন্দু ব্যক্তি বললেন, “হ্যাঁ” খাবনা কেন!!
পণ্ডিত আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কখনও মায়ের মাংস খেয়েছেন?
অহিন্দু ব্যক্তিটি তখন চুপ। হয়ত বুঝে নাই। কি করে বোঝাই মাংস খাওয়া আর দুধ খাওয়া এক না।
তখন অহিন্দু ব্যক্তিটি আবার জিজ্ঞেস করলেন, গরু যদি মা হয় তাহলে বাবা কে??
পণ্ডিত তাকে জিজ্ঞেস করেন “সূর্য বা চাঁদ যদি মামা হয় তাহলে নানা কে”?
সনাতন ধর্মই মাকে সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। এক মাত্র সনাতন ধর্মেই মাকে পূজা করা হয়। রূপক অর্থে দেশ, মাটি, গরুকে মা বলে সম্বোধন করা হয়।
অহিন্দু ব্যক্তি বললেন অনেক হিন্দু আছে যারা গরুর মাংস খায়, তাদের সম্পর্কে কি বলবেন?
উত্তরে পণ্ডিত বললেন, এটি পুরোপুরিভাবে ভিত্তিহীন। হিন্দু ধর্ম পালন করে এমন কেউ গরু মাংস খেতে পারেনা বরং যাদের কোন ধর্মেই বিশ্বাস করেনা, তারা গরুর মাংস খেলেও খেতে পারে।
সেই হিসেবে অনেক নাস্তিক আছে যারা ধর্মে বিশ্বাস করেনা, তারা গো-মাংস খায়। আপনি জনসমক্ষে প্রমাণ করতে পারবেন না যে, কোন হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করে কিন্তু গরুর মাংস খায়। যেটা আপনি প্রমাণ করতে পারবেন না, সেটা বলে লাভ নেই।
কোন হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস থাকলে সে গরুর মাংস খেতে পারবেনা। যারা ধর্ম ত্যাগ করেছে, বা ধর্মে অবিশ্বাসী বা নাস্তিক তাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন।
“”””””””সংগৃহীত “”””””ভালো লাগলে সেয়ার লাইক কমেন্ট দিবেন 🙏❤💝