বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসন শূন্য হতে না হতেই সেখানে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মায়ের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই মাঠে নেমে পড়েছেন সদ্যপ্রয়াত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মেয়ে নওরীণ সাদেক।
সেইসঙ্গে স্বামী ওয়াহিদ সাদিককে নিয়ে নির্বাচনের জন্য ময়দানে হাজির হয়েছেন চিত্রনায়িকা শাবানা। কখনো শোনা যাচ্ছে তিনি নিজেই নির্বাচন করবেন। কখনো প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে শাবানার স্বামীর নাম।
গেল ২১ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেক। ২৮ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই এই আসনে পুনঃনির্বাচনের আমেজে জমে উঠেছে রাজনীতি।
শাবানার স্বামী ওয়াহিদ সাদিকের বাড়ি কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেক’র বাড়িও বড়েঙ্গা গ্রামে। তিনি দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকও দুই মেয়াদের আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ইসমাত আরা সাদেক ও শাবানার শ্বশুরবাড়ি এক উঠানেরই দুই প্রান্তে। তারা সম্পর্কে জা।
জায়ের মৃত্যুর পর এবার মাঠে নেমেছেন শাবানা। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেশবপুরে এসে গণসংযোগ শুরু করেছেন তিনি ও তার স্বামী ওয়াহিদ সাদিক। বড়েঙ্গা গ্রামের বাড়িতে তারা সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় চিত্রনায়িকা শাবানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে গেল নির্বাচনে প্রার্থী হতে বলেছিলেন। আমি নিজের পরিবর্তে আমার স্বামীর জন্য নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলাম। নেত্রী আবারও এলাকায় কাজ করার জন্য বলেছেন। এ জন্য আমরা মাঠে নেমেছি। সুযোগ পেলে আমরা প্রিয় এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’
ওয়াহিদ সাদিকও কণ্ঠ মিলিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নির্দেশে তারা এলাকায় এসেছেন এবং জনসংযোগ শুরু করছেন। এজন্য নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
তবে শাবানা নাকি তার স্বামী- শেষপর্যন্ত কে নির্বাচনে অংশ নেবেন সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। জনমতের উপর ভিত্তি করে শিগগিরই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। আবার এখানে দলের হাই কমান্ডের সিদ্ধান্তের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে শাবানা ও তার স্বামীকে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদ্য প্রয়াত ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুর মাস না পেরুতেই উপ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তার কন্যাসহ পরিবারের সদস্যদের এমন ছুটোছুটিতে বিস্ময় ও বিরক্ত প্রকাশ করছেন এলাকাবাসীরা।
পাশাপাশি কে হবেন উপ নির্বাচনের প্রার্থী এই প্রশ্নেও বিভক্ত হয়ে পড়েছে কেশবপুর শাখা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এর মধ্যে শাবানার আগমন এলাকায় নতুন মাত্রা পেয়েছে। ইতিপূর্বে যে কয়বার শাবানা কেশবপুরে এসেছেন তিনি কখনো জনসভা করেননি। এবার গণসংযোগের তাদের আগমনের জন্য বড়েঙ্গা গ্রামে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। বেশ জমিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন শাবানা।