সেপাল নাথ, ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধিঃ ছাগলনাইয়া উপজেলাধীন ৬ নং পাঠাননগর ইউনিয়নে বেড়ে উঠেছে নামে বেনামে ইট ভাটা. নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স, নেই কোন পরিবেশ অধিদপ্তর’র ছাড়পত্র, নেই কোন বিএসটিআই অনুমোদন ও জেলা প্রসাশকের অনুমতি. ৬নং পাঠানগড় ইউনিয়ন’র বসবাসরত স্থানীয়রা জানান কৃষিজমি নষ্ট ও পরিবেশের ক্ষতি করে ইট তৈরি এবং উর্বর ফসলি জমির উপরের অংশ দিয়ে ইট বানানো বন্ধ করতে হবে. ইট তৈরির নামে প্রতি বছর হাজার হাজার একর জমির উপরের উর্বর মাটি পুড়ে বিনষ্ট করছে। শুধু উর্বর জমি বিনষ্ট নয়, ইটভাটা থেকে যে দূষিত গ্যাস ও তাপ নির্গত হয় তা আশে-পাশের জীবজন্তু, গাছ-পালা এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে এবং মানুষের স্বাস্থ্যহানির কারণ ঘটায়। ইট ভাটার জন্য অনেক সময় গাছে কোনো ফলই ধরে না, বা ধরলেও তা অকালে ঝরে পড়ে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে একসময় এই ইউনিয়নে কৃষি জমির পরিমাণ হ্রাস পাবে, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা ব্যাহত হবে। স্থানীয়রা আরো জানান ৬ নং ইউনিয়ন পাঠাননগরে ইভিএম ব্রিকফিল্ড, মদীনা, জামাল, মক্কা, সততা, সুপার, জিএমহাট, শিলুয়া, শাহ কামাল (SSK), মজুমদার, রহমান, পানবি, ব্রাদার্স নামে প্রায় ১৬ টি ব্রিকফিল্ড আছে তারমধ্যে দুই একটি ছাড়া বাকীগুলি অনুমোদনহীন ভাবে চালাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়রা আরো জানান, বাংলাদেশে কোথাও এক ইউনিয়নে ১৬ টি ব্রিকফিল্ড আছে কিনা আমাদের জানা নেই, ইট ভাটার কারণে সবচেয়ে বেশি দূষিত হচ্ছে বাতাস। পাঠাননগর ইউনিয়ন থেকে ফেনী ছাগলনাইয়া আশেপাশে বায়ু দূষণের কারনে মানুষ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে, দূষিত বায়ু গ্রহণের ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোক এবং ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ফেনী জেলার মানুষ। সরেজমিনে দেখা যায় বাংলাবাজার হরিপুর গ্রামে ১০০ গজ এর ব্যবধানে ৩ টি ব্রিকফিল্ড যাহা পরিবেশের মারাত্মক হুমকি, এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য উপজেলা সকল স্তরের প্রসাশন’র সুদৃষ্টি কামনা করেন স্থানীয়রা।