ফরিদ মিয়া নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধি,দৈনিক বাংলার অধিকারঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২২ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বোরো ধান আবাদ শুরু হয়েছে। তবে শীতকে উপেক্ষা করে নান্দাইল পৌরসভা সহ ১৩টি ইউনিয়নে বীজতলা ও শ্রমিক সঙ্কটের কারণে বোরো আবাদে কৃষকরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছে।
সাধারনত জানুয়ারির ১ম সপ্তাহ থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বোরো আবাদ সম্পন্ন করা হয় এবং এই বোরো ধান কাটা হয় বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসের মধ্যে। কিন্তু শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলার রোপণকৃত বীজ নষ্ট হয়েছে যার ফলে বীজ চারা সঙ্কট রয়েছে। যার ফলে একটু দেরীতে বোরো আবাদ শুরু হয়েছে। বর্তমানে চড়া দামে বীজচারা ও মুজুরি কিনে আবাদে এখন পুরো ব্যস্ত সময় পাড় করছে নান্দাইলের কৃষকগণ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, এবার ২২ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে বোর ধান উৎপাদনের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে। স্থানীয় জাত ৭৫ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ২০ হাজার ৫শত ৩০ হেক্টর এবং হাইব্রীড ১ হাজার ৭শত ২০ হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষ অব্যহত রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নান্দাইল কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
তবে রোরো মৌসুমে শ্রমিক প্রতি রোজ ৫০০ টাকা করে অথবা প্রতি বিঘা জমিতে চারা লাগাতে ১৩শ থেকে ১৬০০ টাকা খরচা লাগছে।
উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, গরু মহিষ না থাকায় পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করলেও মই দিতে কষ্ট করতে হয়। তাই মই দিতে নিজেদেরকে অথবা গরু ব্যবহার করতে হয়। তবে তেল ও সারের দাম কম থাকলে হয়তো চাষাবাদের খরচ পোষিয়ে উঠা সম্ভব হবে। কৃষক শামীম মিয়া জানান, শ্রমিক পাওয়া যায়না বলেই নিজেরাই বীজতলা, জমি প্রস্তুত সহ চারা রোপণ করছি। কারণ জমিতো চাষ করতে হবে তানাহলে হয় জমি নষ্ট হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ধান চাষ না করলে না খেয়ে মরতে হবে। অপর দিকে চলতি বোর মৌসুমে নান্দাইলে সাড়ে ৪ হাজার মে:টন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হারুন অর রশিদ উদ্দিন জানান, বিসিআইসি ১৩ জন ডিলার পৌরসভা সহ ১২ ইউনিয়নে ১১৭জন তালিকা ভূক্ত খুচরা সার বিক্রেতা রয়েছে। জনগণের চাহিদা মোতাবেক তারা সার সরবরাহ করে যাচ্ছেন।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আমিনুল হক জানান, আমরা বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করে যাচ্ছি। বর্তমানে সারা নান্দাইলে কৃষকগণ বোরো জমিতে চাষাবাদ অব্যাহত রেখেছেন। কৃষকরা বলেন পানি সেচের বিষয়টি ভালো হলে এবং নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ সহ সময়মত সার ও জমি পরিচর্যা করলে বাম্বার ফলনের আশা করা যায়।