ঢাকামঙ্গলবার , ২৮ জানুয়ারি ২০২০
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিয়েছেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ের কাজি মো. আনিচুর রহমান- দৈনিক বাংলার অধিকার

প্রতিবেদক
admin
জানুয়ারি ২৮, ২০২০ ১:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ের কাজি মো. আনিচুর রহমান।

একই দিন আদালতে আরও সাক্ষ্য দেন মামলার অপর দুই সাক্ষী মো. কামাল হোসেন এবং মিনারা বেগম। এ নিয়ে মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে ২৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেছেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ের কাজি মো. আনিচুর রহমান মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

কাজি আনিচুর রহমান বলেছেন, ‘২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ে আমি সম্পন্ন করি। ওই দিন নয়ন বন্ডের কয়েকজন বন্ধু আমাকে নয়ন বন্ডের বাসায় নিয়ে যায়। তখন বাসায় নয়ন বন্ডের মা এবং মিন্নিসহ অনেক লোক উপস্থিত ছিলেন। নয়ন বন্ডের বাসায় বসেই পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ে দেই আমি।’

আদালতে আনিচুর রহমান আরও বলেন, ‘বিয়ে সম্পন্ন করার পর আমি জানতে পারি মিন্নি বরগুনা পৌরসভার আবু সালেহ কমিশনারের ভাইয়ের মেয়ে। তখন আমি সালেহ কমিশনারকে আমার মোবাইল থেকে কল দিয়ে মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ের খবর জানাই। তিনি আমাকে বিয়ের কথা গোপন রাখতে বলেন। এরপর মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরও আমাকে ফোন করে বিবাহের বিষয়টি গোপন রাখতে অনুরোধ করেন।’

কাজি আনিচুর রহমান আদালতে আরও বলেন, ‘এরপর আমি জানতে পারি কুমারী পরিচয়ে রিফাত শরীফের সঙ্গে মিন্নির বিয়ে হয়েছে। রিফাত শরীফের সঙ্গে বিয়ের পরদিন মিন্নির বাবা আমাকে ফোনে বলেন, মিন্নি ও নয়ন বন্ড আগামীকাল আপনার কাছে যাবে। আপনি তাদের ডিভোর্স করিয়ে দিয়েন। কিন্তু মিন্নির বাবার কথা অনুযায়ী ওই দিন তারা আমার কাছে আসেনি। এর পরদিন ফোন করে আবারও আমাকে একই কথা বলেন মিন্নির বাবা কিশোর। ওই দিনও ডিভোর্সের জন্য মিন্নি ও নয়ন বন্ড আমার কাছে না আসায় মিন্নির বাবাকে ফোন দেই। তখন মিন্নির বাবা আমাকে বলেন, ওরা দুজনে কমিটমেন্ট করেছে বিয়ের কথা কাউকে জানাবে না। গোপন রাখবে। আপাতত থাক।’

আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, সাক্ষ্য দেয়ার সময় মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ের কাজি মো. আনিচুর রহমান আদালতে বিয়ের রেজিস্টার বালাম উপস্থাপন করেন। এটি গ্রহণ করেন আদালত। এতে বুঝা যায় মিথ্যা বলছেন মিন্নি, নয়নের সঙ্গেও বিয়ে হয়েছিল তার।

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। গত ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; দুভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক। পাশাপাশি রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি এবং মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ছয় আসামি জামিনে। বাকিরা কারাগারে।

গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত।

রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন

Don`t copy text!