কুয়াশার কারণে চাঁদপুরের মেঘনায় দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে মা-সন্তান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ২ লঞ্চের ১০জন যাত্রী আহত হয়েছে। গভীর রাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে লঞ্চ যাত্রীদের মাঝে।
রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটের চাঁদপুরের মেঘনার মাঝেরচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ যাত্রী।
জানা গেছে, রোববার রাত ৯টার দিকে বরিশাল থেকে ৭০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে কীর্তনখোলা-১০ নামে একটি লঞ্চ। লঞ্চটি চাঁদপুরের কাছাকাছি পৌঁছালে ওই এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে একটি চরে আটকে যায়। ওই সময় ফারহান-৯ নামে একটি লঞ্চ কীর্তনখোলা-১০ কে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং লঞ্চে ঘুমিয়ে থাকা মা ও তার সন্তান নিহত হন।
এ ঘটনায় কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের আরও দুই যাত্রী আহত হন। ফারহান-৯ লঞ্চের ৬ যাত্রীও আহত হন। ফারহান-৯ লঞ্চটি ঢাকা থেকে ভান্ডারিয়ার হুলারহাট যাচ্ছিল।
রাতে নৌ পুলিশের সহযোগিতায় আহতদের চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ঘাটে চলাচলকৃত ফেরি ১০ ঘন্টা বন্ধ থাকার পরে সকাল ১০টায় চলা চল শুরু হয়েছে।