শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার উত্তর দেয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে অভয়নগর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
ওই স্কুলছাত্রীর মা বলেন, শুক্রবার দুপুরে আমি পাশের বাড়িতে কাজে গিয়েছিলাম। আমার স্বামীও বাড়িতে ছিল না। বাড়িতে শুধু আমার মেয়েই ছিল। আমি বিকেল ৪টার দিকে বাড়িতে এসে দেখি আমার মেয়ে বাড়ির উঠানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। এ অবস্থা দেখে আমি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বিকেল ৫টার পর তার জ্ঞান ফিরলে সে জানায়, সে বারান্দায় বসেছিল। এ সময় একই এলাকার হাফিজ খানের ছেলে রিয়াজ খান (২০) ও তার সঙ্গে আরও দুইজন মোটরসাইকেলে এসে বাবা-মা কোথায় জানতে চায়। বাবা-মা বাড়িতে নেই বলা মাত্রই তারা জোরপূর্বক ঘরের মধ্যে নিয়ে দুই হাত ধরে রেখে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাফরিয়া রহমান হিয়া বলেন, ওই স্কুলছাত্রী আমাকে জানিয়েছে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করা হয়েছে। আলামত নষ্ট হতে পারে তাই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অভয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তার অবস্থা দেখেছি। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুতই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।