বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া শেরপুরে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর বাঙালি নদী থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর এলাকায় বাঙালি নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের জালে লাশটি উঠে আসে। নিহত ওই যুবকের নাম মো. শহিদুল ইসলাম (৩৫) সে শেরপুর উপজেলার সুত্রাপুর গ্রামের মৃত. জালাল উদ্দীনের ছেলে। শেরপুর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া উক্ত ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী সালমা বেগমকে (২৮) আটক করা হয়েছে। ওই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে নিহতের স্বজন আলমাছ হোসেন ও রমজান আলী জানান, গত মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা রাতে শহিদুল ইসলাম বাড়ির পাশে বাঙালি নদীর ঘাট থেকে পানি আনতে যায়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি বৃহস্পতিবার তার লাশ পাওয়া যায়। অনেকের মতে, শহিদুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর তার লাশ গুম করতে নদীতে পুতে রাখা হয়। আর এই ঘটনার পেছনে তার স্ত্রী সালমা বেগমের গোপন আঁতাত আছে। ওই এলাকার যুবক শাহীন মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই নিহতের স্ত্রী সালমা বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে ঘটনাটি জানতে পেরে মাস দুয়েক আগে স্ত্রী সালমাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান শাহীন। পরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়ে যাওয়ার পর আবারও এলাকায় এসে সংসার শুরু করেন তারা। এই দম্পতির সংসার জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তবে পরকিয়ার জেরধরেই শহিদুলকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে পারেন বলে অভিযোগ করেন তারা। শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির এ প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।