মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
নবীনগরে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত কুলিয়ারচরে মেসার্স সালমান এন্টারপ্রাইজের উদ্বোধন সিরাজদিখানে স্মার্ট কার্ড বিতরণ উপজেলা পরিষদে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করলো বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক  ঠাকুরগাঁও পাক হানাদারমুক্ত দিবস আজ ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঠাকুরগাঁওয়ের গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রইছ উদ্দীন সাজু মাষ্টার কে কুপিয়েছে দূর্বৃত্তরা ব্যস্ত প্রবাস জীবনে আমিরাতে বাংলাদেশ লেডিস ক্লাবের বাৎসরিক বনভোজন ও পিঠা উৎসব ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্ত অতিক্রমকালে বাংলাদেশী যুবক গ্রেফতার ঠাকুরগাঁওয়ে অনুর্দ্ধ-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন চিন্ময় কৃষ্ণদাস এর মুক্তির দাবিতে হামলার ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ে মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা : গ্রেফতার-২৩ কুলিয়ারচরে ৪ ইউপি চেয়ারম্যান অপসারণ, অফিস আদেশ জারি আবুধাবির লিওয়া এলাকায় বিদ্যুৎ স্পষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেন প্রবাসী মোহাং শাহিন আলম। মুক্তি পাচ্ছে শওকত সজল অভিনীত ‘ভয়াল’
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

নীলফামারীতে ছমির উদ্দীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক নিয়োগের অনিয়ম-দৈনিক বাংলার অধিকার

অধিকার ডেক্স / ৩০৪ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২০, ২:৪১ অপরাহ্ণ

মোঃ জুয়েল রানা (নীলফামারী প্রতিনিধি)ঃ
নীলফামারীর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছমির উদ্দীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখায় শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা বিভাগের সকল নিয়ম-নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একটি বিষয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১১ জন শিক্ষককে।
এছাড়াও ‘খ’ শাখা অনুমোদন হওয়ার আগে ‘গ’ শাখা অনুমোদন পাওয়া, শাখা অনুমোদন হওয়ার আগেই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া এবং একই শিক্ষক একই তারিখে দুই পদে যোগদান সকল দুর্নীতি ও অনিয়মকে হার মানিয়েছে। সব মিলিয়ে স্কুল শাখা এখন অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ছমির উদ্দীন চৌধুরী ১৯৬২ সালে নীলফামারী শহরের প্রাণ কেন্দ্রে তার নামে এ স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে এলাকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছিল। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৯৭৬ জন। কিন্তু ৯০ দশকের শেষ দিক থেকে বিদ্যালয়ে বাসা বাঁধে অনিয়ম ও দুর্নীতি।শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার কারণে বিদ্যালয় পরিদর্শক ২০১০ সালের ৫ আগস্ট ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ‘খ’ শাখার অনুমোদন দেয়। এ শাখা অনুমোদন হওয়ার আগেই শাখা শিক্ষক হিসেবে পাঁচজন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে দুর্নীতিতে হাতেখড়ি হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। ‘খ’ শাখা অনুমোদন হওয়ার ৯ বছর আগে অর্থ্যাৎ ২০০১ সালের ৯ মে অনুমোদন লাভ করে ‘গ’ শাখা। যা সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূত।স্টাপিং প্যাটার্ন অনুযায়ী ২২ জন শিক্ষকের মধ্যে একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও একজন সহকারী প্রতিষ্ঠান প্রধান থাকবেন। অবশিষ্ট ২০ জনের মধ্যে ‘ক’ শাখায় বাংলায় একজন, ইংরেজিতে একজন, সমাজ বিজ্ঞানে একজন, গণিতে একজন, কৃষিতে একজন, ইসলাম ধর্মে একজন, সনাতন ধর্মে একজন, গণিত ও বিজ্ঞানে একজন, শারিরীক শিক্ষায় একজন ও কমপিউটারে একজন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করবেন।
অনুরূপভাবে ‘খ’ শাখায় বাংলা, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে একজন করে, গণিত একজন, বিজ্ঞান একজন, ধর্ম একজন, কৃষি একজন পালন করবেন দায়িত্ব। ‘গ’ শাখার ক্ষেত্রেও সমসংখ্যক শিক্ষক থাকবেন।বিধি অনুযায়ী শাখা অনুপাতে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে সর্বোচ্চ তিন অথবা চারজন থাকার বিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১১ জনকে। এ কারণে বিষয় ভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এতে পাওয়া যাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত ফলাফল। এ দিকে শিক্ষক অবৈধ পন্থায় এমপিওভুক্ত হয়ে নিয়মিত তুলছেন বেতন-ভাতা। যা আত্মসাতের সামিল।সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিদ্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে কমপিউটার শিক্ষক পদে স্নাতক দ্বিতীয় শ্রেণি চাওয়া হলেও ওই পদে নিয়োগপ্রাপ্ত আকম মিজানুর রহমানের স্নাতকে তৃতীয় শ্রেণি, এইচএসি তৃতীয় ও এসএসসি দ্বিতীয় শ্রেণি পাশের সনদ রয়েছে। অথচ স্নাতকে তৃতীয় শ্রেণির সনদ থাকার পরেও তাকে কীভাবে ওই পদে নিয়োগ এবং এমপিওভুক্ত করা হলো এ নিয়ে শিক্ষক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়াও তিনি নিয়োগ পেয়ে ১৯৯৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। আবার একই তারিখে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কম্পিউটার শিক্ষক পদে যোগদান করে সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষক হিসেবে হয়েছেন এমপিওভুক্ত হয়েছেন।এ ব্যাপারে ছমির উদ্দীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মেসবাহুল হক বলেন, আমি ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর যোগদান করেছি। এসব হয়েছে আগের প্রধান শিক্ষকের সময়। ওইসব নিয়োগের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!