বুধবার, ০১ জানুয়ারী : টাঙ্গাইলের কালিহাতীর গোহালিয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদারের বিরুদ্ধে বাড়ির মালিক রমজান আলী ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগমকে বিবস্ত্র করে মারপিট করে ৯ শতাংশের বসতবাড়ি জবরদখল করার অভিযোগ উঠেছে। আহত স্বামী-স্ত্রী বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, যমুনা নদী সংলগ্ন গরিলাবাড়ী গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার ব্যক্তিগতভাবে একটি শিশুপার্ক প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয়দের বাড়ি-ভিটি জবর দখল করার চেষ্টা করছেন। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হযরত আলী তালুকদার, তার ছেলে ওবায়দুল, শহীদুল, সালাহ উদ্দিন, তার চাচাত ভাই মোমেন তালুকদার, ইব্রাহিম তালুকদার ও ভাতিজা জাহাঙ্গীর তালুকদার সহ ১৫-২০ ব্যক্তি দা, লাঠি, রড, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গড়িলাবাড়ী গ্রামের রমজান আলীর বাড়িতে হামলা চালায়।
বাঁধা দিতে গেলে তারা রমজান আলী ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগমকে বেঁধে রেখে বাড়ির ঘর ভেঙে জবরদখল এবং তাদেরকে পিটিয়ে আহত করে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয়রা জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার ফিল্মি স্টাইলে হামলা করে রমজান আলী ও তার স্ত্রীকে মারপিট করে বাড়ির ঘর অন্যত্র ফেলে দিয়ে জায়গা জবরদখল করেছে।
আহত রমজান আলী জানান, তার ৯ শতাংশ বাড়ির জায়গা তারা জবরধখল করে নিয়েছে। দখল করার সময় হযরত আলী তালুকদার তার স্ত্রী নাছিমা বেগমকে বিবস্ত্র করে মারপিট করেছে। তাকে বেধে রেখে লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ওই গ্রামের মো. বেল্লাল হোসেনের ১৬ শতাংশ, ইউসুফ আলীর ৪ শতাংশ ও হাকিমদের ১৭ শতাংশ বাড়ির জায়গাও ব্যক্তিগত শিশু পার্কের জন্য ছেড়ে দেয়ার চাপ দিচ্ছে। অন্যথায় ওই জায়গাও জবরদখল করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে মামলা দায়ের করবেন।
গোহালিয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার জানান, ওই জায়গা তার ভাইদের। রমজানরাই জবরদখল করে ওই সম্পত্তি ভোগ করছিল। মারপিটের কথা সত্য নয়।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হাসান আল মামুন জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।