ঢাকাসোমবার , ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাজীগঞ্জে ১২ দিন ধরে ৩ মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ- দৈনিক বাংলার অধিকার

প্রতিবেদক
majedur
ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯ ১:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খালেকুজ্জামান শামীমঃ
১২ দিন পূর্বে নিখোঁজ হওয়া তিন ছাত্রকে ফেরত চান মা। সঙ্গদোষে খারাপ হয়েছে দাবী করে হাজীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করে নিখোঁজ মিরাজ ও শাকিলের পরিবার।
জানা গেছে, হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাটিলা সুন্নিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা হেফজ বিভাগ থেকে পালিয়ে গেছে তিন ছাত্র। মিরাজ হোসেন সুজন (১৬), মিনহাজ (১৫) ও শাকিল হোসেন সাকিব (১৪) গত ১২ দিন যাবৎ নিখোঁজ রয়েছে। মিরাজ ও শাকিলের পরিবার এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
মাদ্রাসার দায়িত্বরত শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজ না পড়ে তারা একসাথে জামা-কাপড় নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। মাদ্রাসায় ২১ জন ছাত্র ছিল। এখন ১৮ জন ছাত্র এখানে অধ্যয়নরত।
নিখোঁজ তিন ছাত্রের সহপাঠি আউয়াল বলেন, মিরাজ আমার কাছে ৮’শ টাকা জমা রেখেছিল। পালিয়ে যাওয়ার আগের রাতে আবার টাকাগুলো ফেরত নিয়ে গেছে। তবে মিরাজ যাবার কয়েকদিন আগে আমার কাছে পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না এবং এখান থেকে চলে যাবে বলেও জানিয়েছে।
মিরাজ হোসেন সুজন হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর ফরাজী বাড়ির বাসিন্দা। মিনহাজ একই উপজেলার হাটিলা ইউনিয়নের বেলঘর গ্রামের বাসিন্দা। শাকিল হোসেন সাকিব হাটিলা গ্রামের সর্দার বাড়ীর বাসিন্দা।
জানতে চাইলে মিনহাজের মা ইয়াছমিন বেগম বলেন, আমার ছেলে একা কখনও কোথাও যায়নি। সঙ্গ দোষে আমার ছেলে আমারদের কে না জানিয়ে পালিয়েছে। আমার ছেলেকে ফেরত চাই।
মিরাজ হোসেনের মা মিনু বেগম বলেন, আমার ছেলে হাফেজি পড়া শেষ পর্যায়ে। ছেলের কোন খোঁজ পাচ্ছি না।
হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, মাদ্রাসা থেকে প্রায় ছাত্ররা পালিয়ে যায়। পরে আবার ফেরত আসে। থানায় দুইটি নিখোঁজ ডায়েরী করা হয়েছে। আমরা তাদেরকে খোঁজার চেষ্টা করছি।
হাটিলা সুন্নিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী বলেন, এই মাদ্রাসা থেকে আর কেউ কখনও পালায়নি। আমরা তিন ছাত্রদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখছি।

Don`t copy text!