সোনাগাজী প্রতিনিধি :-
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলে নদী ভাঙ্গন রোধ করা যায় না। এই কারনে প্রশাসন প্রতিনিয়তই বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকলেও তোয়াক্কা করছে না কেউ। কিন্তু কিছু অসাধুব্যক্তি নিজের আখের গোছানোর জন্য প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। নদীর পাড়ে যারা বসবাস করছে তারা সকলে দস্যুদের হাতে জিম্মি নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক মহিলা বলেন- আমাদের কথা কে শুনেন এখন যে আপনাদের সাথে কথা বলছি এটা জানতে পারলে রাত্রে হামলা করবে আমাদের ঘরে। এলাকাবাসী মনে করছেন প্রশাসন ও তাদের দাপটে নিয়ন্ত্রনে, না হলে এই দুষ্টচক্র এমন ক্ষমতা দেখায় কেমনে। মজুপুর ঘাট (মমতাজ মিয়ার হাট), আদর্শ গ্রাম, এই দুইটি স্পটে সরেজমিনে দেখা যায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে অভিরাম। বালু তোলা নিয়ে জানতে চাইলে মজুপুর ঘাটের স্বত্বাধীকারী শাহাদাত মুঠোফোনে বলেন- ইয়াবা, গাঁজার ব্যবসা যারা করতেছে তা আপনারা দেখেননা। আমি নাহয় একটু বালু তুলছি সেটাই আপনাদের নজর পড়ে গেলো। যে জায়গায় বালি ভরাট হচ্ছে সেই জায়গার মালিক জানায় আামার জায়গায় ৩০হাজার সেফটি বালু লাগবে। তবে আমার সাথে ১ সেফটি বালু ৭টাকা। করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
আদর্শ গ্রামে বিএনপির সন্ত্রাসী হাতকাটা জাকির সহ, আ’লীগ নেতা সফি উল্লাহ, কালা মিয়া (হত্যা মামলার আসামী), পূর্বে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। নেছার উদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করছে। টিপু মুঠোফোনে বলেন আমি কোন বালু ব্যবসায়ী নয়, আমার ভাতিজার জায়গাটা ভরাটের জন্য আমার খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করছি। যদিও ভুমি আমার হয় তবুও আমি জানি এটিও অবৈধ, তবে আপনারা এসেছেন আজ থেকে আমি আর বালু উত্তোলন করবোনা।
বালু উত্তোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে সেলিম মেম্বার জানান, কুচক্রিমহল অবৈধভাবে বালু তুলছে। যা আমাদের এলাকা যেকোন মহুর্তে ভাঙ্গনের কবলে পড়তে পারে।
সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক রুবেল বলেন- ডিসি অফিসের অনুমতি না নিয়ে তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এতে আমাদের এলাকায় যেকোন মুহুর্তে ভাঙ্গনের কবলে পড়তে পারে।
৯নং নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন- আমার জানা মতে আমাদের এলাকায় কোন বালুমহল নেই তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।