ফরিদ মিয়া নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধি,দৈনিক বাংলার অধিকারঃ
নান্দাইল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার মাহমুদা আক্তার ২০১৭ সালের ৮ ই অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নিজের সততাকে সঙ্গী করে সেবার মান উন্নয়নে সবসময় সচেষ্ট রয়েছেন, নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্টে।
তিনি বলেন সারাদেশের মত গত ১ লা জুলাই থেকে নান্দাইলেও শুরু হয়েছে শতভাগ ই-নামজারি এখন পর্যন্ত ৫৯৭ টি আবেদন জমা হয়েছে।আবেদনের পর থেকে ২৮ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করার বাধ্যবাধকতা থাকায় ইতিমধ্যে ৪০০ টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকী গুলোর নিষ্পত্তির কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রতিটি আবেদনের বিপরীতে আবেদনকারির ফোনে ৪টি ম্যাসেজ যায়।কোন আবেদন নামঞ্জুর হলেও কারণ সহ ম্যাসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া নান্দাইলের সকল খাস জমি ও অর্পিত সম্পত্তির ছবি সহ ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে।
রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন হাট বাজারে প্রকৃত ব্যবসায়িদের মাঝে প্লট বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে করে একই ব্যাক্তির একাধিক পজিশন দখলে রাখার প্রবণতা বন্ধ হবে।বাজারে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস হল জলমহাল ও বালুমহাল নান্দাইলে একটি বালুমহাল থাকলেও কোন জলমহাল নেই, স্থানীয় ব্যাক্তির আবেদনের পেক্ষিতে একটি সরকারি আবদ্ধ পরিত্যাক্ত জলাশয়কে জলমহাল হিসেবে বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আশা করছি আগামী মৌসুমে তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। এতে করে জলাশয়টিতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হবে পাশাপাশি রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
ভুমি অফিসের রেকর্ড অনুযায়ী কর্মকর্তাদের নানা মূখী তৎপরতায় গত অর্থবছরের তুলনায় এই অর্থবছরে ইতিমধ্যে ২৫% রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
মাহমুদা আক্তার আরও বলেন তিনজন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা,সাতজন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা, একজন প্রধান সহকারী, একজন সার্ভেয়ার,একজন নাজির সহ অন্যান্য পোস্ট মিলিয়ে ১২ জন জনবল মূল অফিসে কর্মরত রয়েছে, ডিজিটাল হাজিরায় তাদের উপস্থিতি সন্তোষজনক। সেবা গ্রহীতা আঃ কাদির বলেন, আমি খারিজের আবেদন করেছিলাম ২৫ দিনের মাথায় আবেদনটি নিষ্পত্তি হয়েছে। আমার কাগজপত্র ঠিক থাকায় কোন হয়রানি ছাড়াই খুব দ্রুততম সময়ে আমার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। এভাবে কাজ করলে ভূমি অফিস তার অতীতের বদনাম গোছাতে সক্ষম হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন সদ্য স্টেন্ডরিলিজ পাওয়া সার্ভেয়ার সরদার জাহাঙ্গীর মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করত, অফিসে তার উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিলনা।বিষয়টি উপর মহলের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।পাশাপাশি নতুন সার্ভেয়ার যোগদান করায় কাজে গতি ফিরে এসেছে।
ইউ এন ও আব্দুর রহিম সুজন বলেন, মানুষের মধ্যে ভূমি অফিস সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। তারা নিজেদের কাজ নিজেরা না করে কিছু অসাধু বিভিন্ন শ্রেণির ব্যাক্তির শরণাপন্ন হয়,বিধায় বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হয়।আর বদনাম ছড়ায় ভূমি অফিসের।আমরা ভূমি সেবায় কোন দালালদের প্রশ্রয় দেবনা, কোন অসাধু কর্মচারি যেন মানুষকে কোন প্রকার হয়রানি করতে না পারে সে ব্যাপারেও কঠোর অবস্থানে রয়েছি।সাধারণ মানুষের প্রতি পরামর্শ আপনারা নিজের কাজ নিজে করুন দেখবেন ভুল ভেঙে যাবে।এরপরও সমস্যা হলে এসিল্যান্ড বা আমার সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা রয়েছি আপনাদের সেবায়।
উল্লেখ্য যে,নান্দাইল ভূমি অফিসের পরিবর্তনের সূচনা হয় ২০১৬ সালে পদোন্নতি পেয়ে বিদায়ী সহকারী কমিশনার জসিম উদ্দীনের হাত ধরে।
পরবর্তীতে দায়িত্ব নেওয়া সহকারী কমিশনার বর্তমান জামালপুর মেলান্দহের ইউ এন ও তামিম ইয়ামিনের সময় অবকাঠামো সহ প্রশাসননিক আমূল পরিবর্তন হয় নান্দাইল ভূমি অফিসের। যার ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।