স্টাফ রিপোটার্স, দৈনিক বাংলার অধিকারঃ
শাহরাস্তি থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করিয়া এসআই আব্দুল আউয়াল ধর্ষন মামলার এজাহারনামীয় ১নং পলাতক আসামী- মোঃ ইজাজুল হক (২৮), কে কুমিল্লা জেলার লালমাই থানাধীন ভোরাজগতপুর তার নিজ বাসভবন হতে গ্রেফতার পূর্বক ২০ ডিসেম্বর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
ঘটনা সূত্রে ভুক্তভোগী মেয়েটির পরিবার থেকে জানা যায়, শাহরাস্তি মডেল স্কুলের শিক্ষক ইজাজুল হক কর্তৃক বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, শাহরাস্তি বহুমুখী উচ্চ শাখার দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানোর সূত্র ধরে কৌশলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বহুবার ধর্ষন করলে উক্ত ছাত্রী এক পর্যায়ে গর্ভবতী হলে উক্ত লম্পট শাহরাস্তি মডেল স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক ইজাজুল হক চিকিৎসার কথা বলে গর্ভের ভ্রন নষ্ট করে ফেলেন।। বিষয়টি জানাজানি হলে উক্ত লম্পট শিক্ষক নামের কলংক কৌশলে কুমিল্লা জেলার লালমাই থানার তার বাড়িতে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী মেয়েটি উক্ত বিষয়ে আপোষ মিমাংসার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক এবং প্রভাষক জনাব খন্দকার মো. শামসুল আলম সুজন স্যারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেন। মানবাধিকার সংস্থার নীতি ও আদর্শ মতে উক্ত মানবাধিকার নেতা অভিযোগের বিষয়ে আপোষ মিমাংসা করার জন্য সালিশ বৈঠকে হাজির হতে উভয় পক্ষকে পর পর তিনবার নোটিশ করের।। উক্ত নোটিশের অনুলিপি সদয় অবগতি ও সহযোগিতা করার নিমিত্তে তিনি লালমাই থানার ওসি এবং শাহরাস্তি মডেল থানার ওসি, শাহরাস্তি মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার এবং জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট প্রেরন করেন৷ কিন্তু উক্ত ইজাজুল হক মানবাধিকার সংস্থার সালিশ বৈঠকে হাজির না হয়ে উল্টো কুমিল্লা জজকোর্ট এর মহিলা আইনজীবী আয়েশা বেগমের মাধ্যমে স্বয়ং মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যানকে পাল্টা নোটিশ পাঠিয়ে ভুক্তভোগী মহিলা যুবলীগ নেত্রী নাজমুন নাহার মৌসুমীকে নানাহ অপবাদ ও হুমকি দমকি প্রদান করেন। এতে ভুক্তভোগী মহিলা যুবলীগ নেত্রী অনেকটা বাধ্য হয়েই আইনের আশ্রয় নিয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় মোকদ্দমা দায়ের করেন।।
ভুক্তভোগী মেয়েটি উক্ত লম্পট ইজাজুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।