মোঃইবরাহিম খলিল পন্ডিত
সমাজে এক শ্রেণির মানুষ থাকে যাদের মুখে সবসময় একটা হাসি লেগেই থাকে।সবার সাথে হাসি খুশি বন্ধুসূলভ আচরণ থাকে তাদের।কখনো তাদের অখুশি দেখা যায়না।কিন্তু মরণব্যাধি ক্যান্সার যখন তাদের শরীরে বাসা বেধে ফেলে তখন তাদের মুখে সেই হাসির লেশ আর দেখা যায়না।তেমনি একজন অসহায় মানুষ, চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার, ভোলদিঘী গ্রামের শাহজাহান মিয়ার কথা।
বয়স ৩২।পেশায় একজন সিএনজি চালক। ২মেয়ে ১ ছেলে, স্ত্রী এবং বৃদ্ধা মা নিয়ে তার সংসার।বড় মেয়ে (১৩) পড়ে ক্লাস ৮ এ।ছোট মেয়ে (১০) ক্লাস ৪ এ।ছোট ছেলে (৬)হেফজখানায় পড়াশুনা করে। তার বাবা মারা যান তার জন্মের একমাস পরেই।একটু বড় হয়েই তার সংসারের হাল ধরতে হয়।পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যাক্তি শাহজাহান।হতদারিদ্র পরিবারের গ্লানি টেনে আনছেন… শাহজাহান।
২ মাস আগে পিত্তথলীতে টিউমার ধরা পড়ায় ভর্তি হন কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে।প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওনার পিত্তথলি তে ক্যান্সার ধরা পড়ে, পরে ওনার পিত্তথলীর অপারেশন করা হয়।কিন্তু ততক্ষণে ক্যান্সারের জীবাণু শরীরের বিভিন্ন যায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।ফলশ্রতিতে ওনাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রা ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি তাহার আয়ের একমাত্র সম্বল সি,এন,জি বিক্রি করে দিয়ে কেমোথেরাপি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।প্রথম পর্যায়ে কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে কেমোথেরাপির জন্য ওনার অনেক টাকা খরচ হয়।এবং তিনি কেমোথেরাপির প্রথম সাইকেল শেষ করেন…আগামী ২৩ই ডিসেম্বর ঢাকা জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট এ ওনার কেমোথেরাপির ২য় সাইকেল।
কিন্তু আর্থিক দুরবস্থা থাকার কারনে ওনার ২য় থেরাপি দিতে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে…বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রা বলেছেন কেমোথেরাপির সব সাইকেল শেষ হলে আশা করা যায় তিনি আবার আগের সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসতে পারবেন।তাই আপনাদের সকলের নিকট একটাই চাওয়া,শাহজান ভাই এর পরিবারের কথা,ওনার ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ওনাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য সমাজের সকল শ্রেনীর মানুষেকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।আমরা সবাই চাইলে অল্প অল্প করে সাহায্য করলেই অনেক বড় সমস্যা সমাধান করে ফেলা সম্ভব।প্লিজ সবাই এগিয়ে আসুন..
রোগীর নাম্বার (বিকাশ পারসোনাল)
01833-242-795,
01764-596-250.
রোগীর ব্যাংক একাউন্ট – অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড।শাহরাস্তি শাখা,চাঁদপুর
0200003641397
( দয়া করে সকলে একটু শেয়ার করে)অনুরোধ ক্রমে,মানব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন।