মো: মাসুদ রানা,কচুয়াঃ
গত ১২ ডিসেম্বর সৌদি আরবে কনস্ট্রাকশন নির্মানধীন ভবন থেকে পড়ে দুর্ঘটনায় নিহত হন চাঁদপুরের কচুয়ার সন্তান সুমন মোল্লা। এরপর ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে তার লাশ দেশে আসেনি।
সুমন মোল্লা কচুয়া উপজেলার দক্ষিন সেঙ্গুয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল মান্নান মোল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম মনেনা বেগম।
তারা শুনেছেন- সৌদির রাবেক থেকে ছেলের লাশ দেশে আনতে হলে অনেক হয়রানি ও কাগজপত্র প্রয়োজন। সেই সুবাদে উপায় না পেয়ে সন্তানের লাশ আনার জন্য সরকারের দূতাবাস ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আশ^াস করেছেন সুমনের পরিবার।
এ অবস্থায় মৃত সন্তানের মুখ শেষবারের মতো দেখার বিষয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন বলে জানান মনেনা বেগম। কলিজার টুকরার লাশের মুখখানা শেষ দেখার জন্য সরকারের কাছে প্রার্থনা করেন।
তবে সুমন মোল্লা সৌদি পৌঁছে প্রায় ৩ বছর ধরে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করলেও তিনি পরিবারের কাছে কোনো টাকা পাঠাতে পারেননি। এরই মধ্যে সুমন মোল্লা দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ায় তার লাশ আনা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বলে জানান ভাই সোহেল মোল্লা।
চাচাতো ভাই দুলাল মোল্লা,ভাই সোহেল, বোন তানিয়া বেগম জানান, সুমন মোল্লা একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন। বছর তিনেক আগে সে সৌদি আরবে গেছে। সেখানে নির্মানর্ধান ভবন থেকে পড়ে দূর্ঘটনায় সে মারা যায়। আমরা তার লাশ দেশে ফিরে আনতে সরকার ও দূতাবাসের নিকট আবেদন করছি। অতি শীঘ্রই যেন তাদের ভাইয়ের লাশ দেশের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার দক্ষিন সেঙ্গুয়া আনা হয়। সুমন মোল্লার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সৌদি দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছেন তার পরিবার।