মো: মাসুদ রানা,কচুয়াঃ
১৩ বছর বয়সী সজীবের সকাল আর সন্ধ্যা কাটে বাজারের ওয়ার্কসপ দোকানে। অনাদরে আর অবহেলায় অন্যের দয়ায় বেড়ে উঠেছে এই শিশু সজীব। এমন পরিস্থিতি চোখের পানি ছাড়া তেমন কিছুই করার নেই বাবা ও মায়ের। বাবা মানিক হোসেন দিনমজুর। যা রোজগার করে তাতে করে সংসার কিংবা সজীবের পড়ালেখা চালানো সম্ভব নয়,তার কারনে বন্ধ করে দিতে হয় সজীবের পড়ালেখা। বাড়িতে রয়েছেন বাবা,মা, ২ ভাই ও ১ বোন। ছয় মাস পূর্বে সজীব বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে পুরো শরীর ঝলসে গেলেও প্রানে রক্ষা পান সে। জীবন সংগ্রামে বাচার আকুতি নিয়ে সংসারে হাল ধরেছেন এই শিশু সজীব হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা ভূঁইয়ারা গ্রামে।
যে বয়সে সজীব হোসেন স্কুলে বসে নিজের ভবিষ্যতের গল্প লেখার কথা, সে বয়সে শ্রমিক হয়ে নিজেদের ঠেলে দিচ্ছে নিরাপত্তাহীনতায়। বিদ্যালয়ের মুখ দেখলেও পড়াশুনা হয়নি সজীবের। ক্লাস ওয়ানে ভর্তির পরেই সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে। সংসারের চাকা ঘোরাতে কাজ নিতে হয় বিভিন্ন স্থানে। এদিকে সজিব অভাবের যাঁতাকালে পড়ে দিনমজুরের কাজ করতে হয় ওয়ার্কসপ দোকানে। আর প্রয়োজনেই তখন পরিবারের ছোট শিশুটি বাধ্য হয় শ্রমে নিয়োজিত হতে। রাষ্ট্রে যদি শিশুদের ন্যায্য অধিকার রক্ষা করতে না পারা যায় তাহলে তার প্রভাব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর পড়বে। তাই ব্যক্তি, পরিবার,সমাজ,রাষ্ট্র একযোগে ভূমিকা রাখলে শিশুদের জন্য নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব। তাহলে সজীবের মতো আর কোনো শিশু শ্রমে নিয়োজিত না হয়ে বিদ্যালয়মুখী হবে।