একের পর এক স্প্যান বসানোয় দৈর্ঘ্য বেড়ে চলছে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর। গাড়ি ও ট্রেনে চড়ে পদ্মা পাড়ি দেয়ার স্বপ্ন এখন ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপ নেয়ার পথে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বসানো হবে পদ্মাসেতুর ১৮ তম।
সেতুর স্প্যান কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ক্রেনে তুলে নিয়ে যাওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই স্প্যানটি ১৭ ও ১৮ নম্বর খুঁটিতে স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে পদ্মাসেতু প্রায় তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, চলতি মাসে আরও ৩টি স্প্যান বসানো হবে। ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার লম্বা সেতুতে স্প্যান বসাতে হবে ৪১ টি। এর মধ্যে চীন থেকে সেতু এলাকায় স্প্যান এসেছে ৩১টি। সেখান থেকে ১৭টি স্থাপন করা হয়েছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখি সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এই সেতুর কাঠামো। ইতোমধ্যে ১৬টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে সেতুটির ২৪০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
এ মাসে আরও তিনটি স্প্যান বসে গেলে সেতুর প্রায় অর্ধেক দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলীরা।