ঢাকারবিবার , ১ ডিসেম্বর ২০১৯
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

১৫ দফা দাবিতে জয়পুরহাটের সব পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট” ভোগান্তিতে যান চালকরা-দৈনিক বাংলার অধিকার  

প্রতিবেদক
majedur
ডিসেম্বর ১, ২০১৯ ৭:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিরেন দাস (জয়পুরহাট)প্রতিনিধিঃ
তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি, পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন জমির ইজারা বাতিল সহ ১৫ দফা দাবিতে জয়পুরহাটের সব পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের চালকরা।
রোববার (১ ডিসেম্বর) ভোর ৬ টা থেকে ট্যাংকলড়ি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি সহ জ্বালানি ব্যবসায়ীরা এ কর্মবিরতি শুরু করেন।
দেখা গেছে, ধর্মঘটের কারণে রবিবার সকাল থেকে জয়পুরহাটের ৫ টি উপজেলার কোন পেট্রোল পাম্প থেকে কোন জ্বালানি তেল বিক্রি করা হচ্ছে না। জ্বালানি তেল না পেয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে দেখা গেছে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মোটরসাইকেল চালকরা। 
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বিহারপুরের কৃষি কাজে পাওয়ার টিলার ব্যবহারকারী রোস্তম আলী আক্কেলপুর ফিলিং স্টেশনে তেল নিতে এসে দেখেন পাম্পটি বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় তিনি বেকায়দায় পড়েছেন। ভরা মৌসুমে তেল না পেয়ে পাওয়ার টিলারটি তাকে বন্ধ রাখতে হবে বলে প্রতিবেদক কে জানান। 
সাধারণ জনগণের পাশাপাশি জেলার বেশিরভাগ সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলই একমাত্র বাহন কিন্তু তারা তেল নিতে পাম্প গুলোতে গিয়ে তেল না পেয়ে কোন সংবাদ সংগ্রহ না করতে পারাই পেশাজীবী সাংবাদিকরাও চরম বিপাকে পড়েছেন। যার একটিই কারণ তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।  
অপরদিকে সাধারণ জনগণ অভিযোগ তুলেছেন, ধর্মঘটের খবরটি কেন ফলাওভাবে প্রচার করা হয়নি কেন মাইকিং করা হয়নি এমন অভিযোগের পাশাপাশি তাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে যা লক্ষ করা গেছে। তাদের একটাই দাবি ধর্মঘটের বিষয়টি কেন প্রচার না করে হঠাৎ করেই তেল বিক্রয় বন্ধ করা হলো। 
এ বিষয়ে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের বানিয়াপাড়ায় পরিচালিত ডালিম ফিলিং স্টেশন ম্যানেজার মোঃ আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের জানান, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক রবিবার ভোর ৬ টা থেকে তেল বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। এবং আমাদের ১৫ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। 
১৫ দফা দাবিগুলো হলো- জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট না-কি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান-বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরণ, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন, ট্যাংকলরির ভাড়া বাড়ানো, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ পেট্রোল পাম্পের প্রবেশদ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক পাঁচ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ট্যাংকলরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতিত সরকারি অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান ডিলার বা এজেন্টদের অযথা হয়রানি বন্ধ, নতুন কোনো পেট্রোল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানি তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পেট্রোল পাম্পের পাশে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণের আগে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতা মূলক ও বিভিন্ন জেলায় ট্যাংকলরি থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করা।

Don`t copy text!