কচুয়া প্রতিনিধি,
চাঁদপুরের কচুয়ার উজানী গ্রামে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে না নেয়ায় বাদীর উপর হামলা, মারধর ও নগদ টাকা, মোবাইল সেট ও স্বর্নালঙ্কার লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠছে। গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার উজানী মাদ্রাসার দক্ষিন দিকে রফিকুল ইসলামের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হচ্ছে: ওই গ্রামের শহীদ উল্যাহ’র ছেলে মো: রায়হান মিয়া (৩১),তার বোন মানজান আক্তার (২৬)। আহতদের মধ্যে মারজানা আক্তার বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় আহত রায়হান মিয়া বাদী হয়ে বাখৈয়া গ্রামের বোরহান (২৮), রায়হান ওরফে কালা মিয়া (২৫), হান্নান মিয়া (২২), শিব্বির আহমেদ (২৪), জাফর (২৬) ও রফিকুল ইসলাম (৫৫) নাম উল্লেখ ও ২/৩জন কে অজ্ঞাত আসামী করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় লিখিত ও আহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ মে উপজেলার উজানী গ্রামাস্থ রফিকুল ইসলামের দোকানে বাদীর শিশু ভাগনী (৫) কে রফিকুল ইসলামের দোকানে প্রলোভন দেখিয়ে দোকানে আটকিয়ে রফিকুল ইসলামের ছেলে শরীফ (১১) ও ভাতিজা রিপন (১০) ওই শিশুটি যৌন নিপড়ীন চালায়। ওই সময়ে একই এলাকার মাহবুব তার নিজ মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারন করে। এ ঘটনায় তৎকালীন সময়ে শিশুটির মামা রায়হান মিয়া ন্যায় বিচার চেয়ে কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৩, তারিখ: ১০/০৫-২০১৯ খ্রি:। মামলায় রিপন (১০), শরীফ(১১) ও মাহবুব (২৫) কে আসামী করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ রিপনকে গ্রেফতার করে গাজীপুর শিশু জেল হাজতে প্রেরন করলে বর্তমানে সে জামিনে বের হয়ে আসে এবং এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে রিপনের পরিবারের পক্ষ নিয়ে তার ভাই জাফর, শিব্বির হোসেন,বোরহান,রায়হান ও রফিকুল ইসলাম বাদীকে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ ও হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করেন। এক পর্যায়ে মামলা তুলে না নেয়ায় গত শনিবার সন্ধ্যায় বাদী তার দোকান থেকে উজানী বাজারে মোটরসাইকেল যোগে রওনা দিলে রফিকুল ইসলামের দোকানের সামনে পৌছলে পূর্বে ওৎপেতে থেকে উল্লেখিত বিবাদীগন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাদীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তার ডাক চিৎকারে তার বোন মারজান আক্তার এগিয়ে আসলে তাকেও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলকারীরা বাদী রায়হান মিয়ার বাম হাত,মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থান এবং মারজান আক্তারের পা,শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিঠিয়ে ফুলা জখম করে। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে রায়হান মিয়ার অবস্থা বেগতিক দেখে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করে।
এসময় হামলা কারীরা রায়হান মিয়ার সাথে থাকা নগদ দেড় লক্ষ টাকা,মুল্যবান অপু সেট,ব্যবসায়িক ৫টি মোবাইল সেট, তার বোনের কানের দুল নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক মোটরসাইকেল চাবি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বাদী ও তার বোনকে মারধর করেও ক্ষ্যান্ত নয় বিবাদীগণ। প্রভাবে খাটিয়ে বাদীর পরিবারকে বিএনপি দল ক্ষমতায় আসলে দেখা নেয়ার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এদিকে রায়হান মিয়া ও তার বোন এবং পূর্বে তাদের শিশু ভাগনীকে নিপড়ীন কারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও এলাকাবাসী।