খালেকুজ্জামান শামীম হাজীগঞ্জ ( চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন শেষে আসলো নিষেধাঙ্গার খবর। বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং বড়কুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন সর্ম্পূণ হয়। সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আহসান হাবিব বলছেন, আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন করেছে। জোরপূর্বক এই সম্মেলনের কার্যক্রম সম্পন্ন বেআইনি।
এদিকে সম্মেলনে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬ নং বড়কুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক পদে কবির হোসেন মিয়াজিকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন সম্মেলন সমন্বয়কবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মাঈনুদ্দিনসহ নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্তরা। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, আবু তাহের মিয়া ১২৮ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মফিজুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৪ ভোট। সাধারন সম্পাদক হয়েছে কবির হোসেন মিয়াজী। তিনি পেয়েছেন ১৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল রাজ্জার পেয়েছে ৭০ ভোট।
২৭ নভেম্বর স্বাক্ষরিত নিষেধাঙ্গা পরিপত্রে দেখা গেছে, সম্মেলন শেষে নিষেধাঙ্গার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন স্থগিত করা হলো। তবে, এই আদেশের কপিটি ২৮ নভেম্বর সম্মেলন শুরুর সময় সমন্বয়কবৃন্দ দেখতে পায়। তবে তারা রিসিভ করেনি।
আদালতের নিষেধাঙ্গাপত্রে দেখা গেছে, চাঁদপুরের বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে গত ২৫ নভেম্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. আহসান হাবীব বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় চলমান ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রস্ততি কমিটির ৬ নেতাকে আসামী করে। যার মামলা নং ২৭৪/১৯।
অভিযুক্তরা হলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলা ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. ইউসুফ গাজী, হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজী, সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মাঈনুদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হারুনুর রশিদ মুন্সী, ৬নং বড়কূল পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মফিজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন মিয়াজী।
জানতে চাইলে সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়ক চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ইউসুফ গাজী যুগান্তরকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে নিষেধাজ্ঞার খবর শুনেছি। কিন্তু বর্তমানে ঢাকায় আছি।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪০নং অনুচ্ছেদের ঘ বিধি মোতাবেক ওয়ার্ড থেকে ১৯ জন, কো-অপশনকৃত ১৫ জন নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল গঠিত হবে। কিন্তু ইউনিয়নের ভোটার তালিকা কাউন্সিলের তিন দিন পূর্বে সকল কাউন্সিলরদের বরাবর প্রেরণ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। তা না করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পরেও এজেহারভূক্ত আসামীরা তড়িগড়ি করে ২৮ নভেম্বর ৬নং বড়কূল পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন করেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, অনুযায়ী দেওয়ানী কার্যবিধি ৩৯ নিয়মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা হিসাবে ইতিপূর্বে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন স্থগিত করা হয়। বাদীপক্ষ আহসান হাবিব একজন বৈধ প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনের আগদিন পর্যন্ত ভোটার তালিকা পায়নি। তাই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।