হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলার অধিকার::
সারাদেশে প্রশাসন কর্তৃক মাদক বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। প্রশাসনের চৌকস কর্মকর্তাদের মধ্যে কার্যকরী সাফল্য অর্জন করছে প্রশাসন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাবৃন্দ। এতে প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য এবং প্রশংসিত হচ্ছে। তবে কক্সবাজারে কিছুতেই মাদক কারবার থামছে না। নানা কৌশলে ঢুকছে ইয়াবা।
এদিকে কক্সবাজার জেলাসহ বাংলাদেশের একাধিক মাদক অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারিগুলো ইতিমধ্যে ব্যাপক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নানা আয়োজনের ভিত্তিতে আত্মসমর্পণ করে জেলহাজতে রয়েছেন।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের পূর্বে ধারনা করা হতো, সারাদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারিরা-ই মাদক রাজত্ব কায়েম করতো। তবে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান এক বছর প্রায় অতিক্রম হলে বাস্তবে ভিন্নরূপ ধারণ করছে। কক্সবাজার জেলায় তথা মাদক অধ্যুষিত এই এলাকায় প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন লক্ষ-লক্ষ মরণনেশা ইয়াবার চালান উদ্ধার করছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড এবং পুলিশ প্রশাসন সহ দায়িত্বরত র্যাব সদস্যরা।
প্রসঙ্গত মাদকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্সনীতি বাস্তবানের লক্ষ্যে বিগত প্রায় দুই বছরের কাছাকাছি সময়ে শত শত মাদক কারবারি বন্দুকযুদ্ধের মতো ঘটনায় নিহত হলেও নব্য মাদক কারবারি কিছুতেই কমছে না ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে নতুন মাদক কারবারি।
নিয়ন্ত্রণহীন অবৈধ মাদক বাণিজ্য এবং সারাদেশে ক্রমবর্ধমান মাদকাসক্তি ভয়াবহ সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে। মরণ নেশা মাদকাসক্তি ও রমরমা মাদক বাণিজ্যের কুফল প্রত্যক্ষ করে সারাদেশে জাতি বিনাশী মাদকের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা এবং গণপ্রতিরোধের সামাজিক আন্দোলনও শুরু হয়েছে। অপরদিকে সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসমূহের পক্ষ থেকেও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোসহ নানা ধরনের কার্যক্রম চলছে। এমনকি সারাদেশেই স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলনের সাথে ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা ও একাত্মতা প্রকাশের খবর সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এতো কিছুর পরেও জাতি বিনাশী অবৈধ মাদকের রমরমা ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না কেন?
এদিকে টেকনাফ প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আশেক উল্লাহ ফারুকী বলেন, মাদক নির্মূল করতে হলে সীমান্তে কোস্টগার্ড এবং বিজিবিকে আন্তরিকভাবে জলসীমায় কঠোর অভিযানের মাত্রা আরোও বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, সর্ববৃহৎভাবে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত পর্যায়ে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আন্তরিকতায় জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করলে মাদক চিরতরে নির্মূল হবে।
এদিকে টেকনাফ২ ব্যাটেলিয়ন বি জি বি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়সাল খান মনে করেন, স্বদেশ প্রেম, সচেতনতা, এবং সুশিক্ষার ঘাটতি থাকলে বন্দুকযুদ্ধের মতো ঘটনা ঘটিয়ে সমস্ত বসবাসরত মানুষকে মেরে ফেললেও মাদক কারবার বন্ধ হবে না।