স্টাফ রিপোটার্স, দৈনিক বাংলার অধিকার
চাঁদপুর জজকোর্টের এডভোকেট ও শাহরাস্তি উপজেলার নায়নগর গ্রামের জাকারিয়া আল মাহমুদ হেলাল এর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত সনদ বাতিলসহ আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কার করন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনার্থে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার বানিয়াচোঁ আদর্শগ্রাম ( গুচ্ছগ্রাম) এর ১৫ টি ছিন্নমূল পরিবারের সদস্যরা মানবাধিকার সংস্থা এবং সংবাদকর্মীদের সহযোগিতায় ১৯/১১/১৯ তারিখ সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকা-তে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।। উক্ত মানববন্ধনে বানিয়াচোঁ গুচ্ছগ্রামের ১৫ টি পরিবারের সদস্যরাসহ বিভিন্ন স্তরের মানবাধিকার নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।। বক্তারা সবাই উক্ত আইনজীবীর শাস্তি নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।।
উল্লেখ্য গুচ্ছগ্রামের পক্ষে মানবাধিকার সংস্থা UUHRBF এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও গণমাধ্যম কর্মী এবং প্রভাষক খন্দকার মো. শামসুল আলম সুজন বাদী হয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর সচিব বরাবর বিগত ০৫/০৯/১৮ সালে দরখাস্ত দায়ের করলে তা যাচাই বাছাই শেষে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নীতিমালা মতে উক্ত আইনজীবী হেলাল এর বিরুদ্ধে বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনাল –৬ এ অভিযোগ মোকদ্দমা নং ১৫/১৯ রজ্জু হয়।। উক্ত অভিযোগে মোকদ্দমায় এডভোকেট হেলাল এর বিরুদ্ধে গুচ্ছগ্রামের ১৫ টি ছিন্নমূল পরিবারের নামে লীজকৃত ভূমি সম্পক্তি আত্মসাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে ১৯৮৮ সাল হতে অদ্যাবধি ধারাবাহিক ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, সিরিজ মামলাবাজিসহ ১৯৯৫ সালে গুচ্ছগ্রাম একবার জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন মোকদ্দমার বাদীপক্ষ।। একই সাথে উক্ত অভিযোগ মোকদ্দমা তুলে নিতে বাদীপক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দমকিসহ পুনরায় মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকায় ০৫/১১/১৯ তারিখে এডভোকেট জাকারিয়া আল মাহমুদ হেলাল এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর আরও একটা অভিযোগ করেন হতদরিদ্র বানিয়াচোঁ গুচ্ছগ্রামবাসী।। একই সাথে তিনি এডভোকেট তাঁর অপকর্ম ঢাকতে বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন মর্মেও অভিযোগে উল্লেখ করেন বাদীপক্ষ।।
উক্ত বিষয়ে গুচ্ছগ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ জাতীয় প্রেসক্লাবে কথা বললে তাহারা এডভোকেট জাকারিয়া আল মাহমুদ হেলাল এর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।। তাহারা বলেন এড. জাকারিয়া হেলাল ১৯৮৮ সাল হতে অদ্যাবধি তাদেরকে গুচ্ছগ্রাম হতে উচ্ছেদ করার হীন উদ্দেশ্যে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা করে তাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছেন।। তার বিরুদ্ধে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রতিবাদ করায় তাদেরকেও এসব মিথ্যা মামলার আসামি করে হয়রানি করতে থাকেন।। গুচ্ছগ্রামের ১৫ টি পরিবারের সদস্যরা বলেন জনাব হেলাল উকিলের একটি সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু গ্রুপ আছে এবং তিনিই স্বয়ং নেতৃত্ব দিচ্ছেন।। আদর্শগ্রামবাসী কান্না জড়িত কন্ঠে আরও বলেন, এড. জাকারিয়া হেলালে নিজে কখনও বাদী আবার কখনও স্বাক্ষী বা আইনজীবী সাজেন এবং তার সহযোগী শাহ আলম, আবুল খায়ের মনা, আবুল হোসেন, বিলকিস সুলতানা, আবুল হোসেন লিটন, বাহার, সোহবাপ মৃধ্যা গংরা বাদী বা স্বাক্ষী হয়ে তাকে সহযোগিতা করেন।। আর বাদীপক্ষকে এবাবেই নানাহভাবে চরম অমানবিক নির্যাতন করে যাচ্ছেন।।
উক্ত বিষয়ে মোকদ্দমার প্রতিপক্ষ আইনজীবী জাকারিয়া আল মাহমুদ হেলাল সাহেবের নিকট জানতে চাইলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে গুচ্ছগ্রামের ১৫ টি ছিন্নমূল পরিবারের সদস্যদের নামে লীজকৃত ৩ একর ৭০ শতক ভূমিকে তাহার পৈতৃক সম্পক্তি দাবী করেন।।
তবে ডকুমেন্টস পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, গুচ্ছগ্রামের নামে লীজকৃত উক্ত ৩.৭০ একর ভূমি ” ক ” তফসিলভুক্ত এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকের নামের ১/১ বিএস খতিয়ানে রেকর্ডভুক্ত।। ১/১ খতিয়ানের মন্তব্য কলামে গুচ্ছগ্রামবাসীর ভোগদখল দেখানো হয়েছে।। উক্ত ভূমিই ১৯৮৮ সাল হতে গুচ্ছগ্রামের জনগণের যথাযথ নামে লীজকৃত।।
মোকদ্দমার বাদী মানবাধিকার নেতা খন্দকার মো. শামসুল আলম সুজন বক্তব্যে বলেন, মোকদ্দমা তুলে নিতে এড. জাকারিয়া হেলাল গংদের ধারাবাহিক হুমকি দমকি ও কূটকৌশলের কারনে জান ও মালের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।।